রমজানের আগেই স্বস্তির খবর দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটিতে খেজুরের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে। রোজাকে সামনে রেখে অতীব প্রয়োজনীয় এ পণ্যের দাম কমিয়েছেন দেশটির ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি শারজার ওয়াটারফ্রন্ট ও জুবাইল মার্কেট সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এ সময় বাজারে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক অনেক কম দামে খেজুর বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন, জর্দান ও সৌদি আরবের মাজদুল খেজুর বর্তমানে ২০ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে। যা স্বাভাবিক সময়ে ৩০ দিরহামে বিক্রি হয়ে থাকে। একইভাবে রুটাব খেজুর তিন কেজি স্বাভাবিক সময়ে ৬০ দিরহামে বিক্রি হলেও তা এখন ৪৫ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া বহুল পরিচিত আজওয়া খেজুর বর্তমানে প্রতিকেজি ৩৫ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে। যা স্বাভাবিক সময়ে ৪৫ দিরহামে বিক্রি হয়ে থাকে। এ ছাড়া বাজেট সচেতন মানুষের জন্য বাজারে রয়েছে ইরানের জায়দি খেজুর। এটি প্রতিকেজি পাঁচ দিরহামে বিক্রি হচ্ছে।
ওয়াটারফ্রন্টের একটি স্টলের বিক্রেতা মোহাম্মদ রাইস বলেন, শুকনো ফলমূল ছাড়মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। বর্তমানে মাজদুল খেজুরের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে কম রয়েছে। এটি প্রতিদিন এখন ১০০ কেজির বেশি বিক্রি হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে চাহিদা বেড়ে ৫০০ কেজির বেশি হতে পারে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, সব বিক্রেতারা বর্তমানে এ শক্তিবর্ধক ফলটি কম মূল্যে বিক্রি করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে এ অফারের সুবিধা নিচ্ছেন। রমজানের আগে এখন কম দামে খেজুর কিনে উল্লেখযোগ্য সেভিংস করতে পারেন স্থানীয়রা।
ওয়াটারফ্রন্টের আরেক বিক্রেতা আনজিল এস বলেন, বর্তমানে আমাদের কাছে ৩০ প্রজাতির খেজুর রয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এর আরও ধরন আসার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে চাহিদা আরও বাড়বে। ফলে খেজুরের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: