ভারতের উত্তর প্রদেশের বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের বেসমেন্টে হিন্দুরা পূজা কার্যক্রম চালাতে পারবেন। আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি, সোমবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট। মুসলমানদের করা এক আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দেন আদালত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৩১ জানুয়ারি জ্ঞানবাপী মসজিদের বন্ধ থাকা বেসমেন্টে হিন্দুদের পূজা করার অনুমতি দেয় উত্তর প্রদেশের নিম্ন আদালত। তবে সেই পূজা স্থানীয় বিশ্বনাথ মন্দিরের পুরোহিতের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হবে বলেও রায় দেন আদালত। পরে নিম্ন আদালতের সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করে আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি (এআইএমসি)।
এআইএমসি-এর আবেদন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের বিচারক রোহিত রঞ্জন আগারওয়াল তাঁর রায়ে বলেন, ‘ব্যাস তহখানায় হিন্দুদের পূজা চলবে।’ জ্ঞানবাপী মসজিদের নিচে থাকা চারটি পাতালঘরকে ব্যাস তহখানা বলা হয়।
এর আগে, স্থানীয় চার হিন্দু নারীর তরফ থেকে এই আবেদন করেন বিষ্ণু শংকর জৈন। তিনি আদালতের কাছে দাবি করেন, ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের জরিপে জ্ঞানবাপী মসজিদের নিচের বেসমেন্টে থাকা প্রস্তরের মধ্যে হিন্দু দেবতার মূর্তি থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিষ্ণু শংকর জৈন আরও দাবি করেন, আগে এখানে থাকা একটি মন্দিরের পুরোনো কাঠামোর কিছু অংশ একটি বিভিন্ন ভাষায় লেখা ৩৪টি শিলালিপিসহ বেশ কয়েকটি স্তম্ভ মসজিদ নির্মাণে ব্যবহৃত হয়েছিল।
এর আগে, এলাহাবাদ হাইকোর্টে জ্ঞানবাপী মসজিদ কমিটি সেখানে পূজা করার অনুমতি চাওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিল। কিন্তু গত মাসে এক রায়ে এলাহাবাদ হাইকোর্ট মসজিদ কমিটির সেই আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।
উল্লেখ্য, জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের আশপাশে ‘দেবদেবীর মূর্তি’ আছে দাবি করে উপাসনার অনুমতি চেয়ে ২০২১ সালে আদালতে আবেদন করেন পাঁচ নারী। এর পরিপ্রেক্ষিতে বারাণসীর আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ করার নির্দেশ দেন। আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ চালায়। পরে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হলে সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: