অনন্য সুন্দর জেদ্দার ভাসমান মসজিদ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৭ জানুয়ারী ২০২৪ ১২:৫১

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

সৌদি আরবের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী জেদ্দায় অবস্থিত ভাসমান মসজিদ আর-রহমাহ দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণের একটি জায়গা। লোহিত সাগরের তীরে নির্মিত এই মসজিদটিকে অনেকে ভাসমান জাহাজের সঙ্গে তুলনা করেন।

১৯৮৫ সালে নির্মিত এই মসজিদটির আয়তন দুই হাজার ৪০০ বর্গমিটার। আটটি স্তম্ভের উপর দণ্ডায়মান মসজিদের উপরের দিকে রয়েছে নীলাভ রঙের বড় একটি গম্বুজ। এর পাশাপাশি রয়েছে ৫২টি ছোট গম্বুজ। এর বাইরে আঙিনায় রয়েছে ২৩টি স্বয়ংক্রিয় ছাতা। সবগুলো গম্বুজ ও ছাতার ওপর পবিত্র আল-কোরআনের বিভিন্ন আয়াত লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় লোহিত সাগরের পটভূমিতে মসজিদটির সৌন্দর্য উপভোগের জন্য দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক ও মুসল্লিরা ভিড় জমান এই মসজিদে। তারা মসজিদ প্রাঙ্গণে বসে সমুদ্রতীরের মনোরম দৃশ্যও উপভোগ করেন।

আধুনিক স্থাপত্যশৈলী ও ইসলামি শিল্পকলার মিশ্রণে নির্মিত এই মসজিদের দেয়ালে রয়েছে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের শৈল্পিক ছাপ। এর ভেতরে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে জুমার খুতবার তাৎক্ষণিক অনুবাদ শুনতে পারেন শ্রোতারা।

দুই হাজার ৩০০ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই মসজিদে নারীদের নামাজের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। মসজিদের মধ্যভাগে কাঠের ঝুলন্ত স্থানে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন ৫০০ নারী।

বছরের বেশির ভাগ সময় মসজিদের স্তম্ভগুলো থাকে পানির নিচে। প্রতিবছর অসংখ্য হজ ও ওমরাহ যাত্রী মসজিদটি পরিদর্শনে যান। এর মধ্যে পূর্ব এশিয়া, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানরা সংখ্যায় বেশি।

মসজিদটি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, সমুদ্রের লোনাপানি বা শ্যাওলা এই মসজিদ অবকাঠামোর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। কারণ, সমুদ্রের পানির লবণাক্ততা, তীব্র স্রোত, পারিপার্শ্বিক আবহাওয়াসহ নানা দিক মাথায় রেখেই মসজিদটিতে উপযোগী নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: