চলতি বছর (২০২৪) হজ পালনে সৌদি সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। সোমবার (৮ জানুয়ারি) সৌদি আরবের জেদ্দায় স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় এ চুক্তি হয়। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার ও সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আব্দুল ফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত চুক্তিতে সই করেন।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মঞ্জুরুল হক এ তথ্য জানান। চুক্তি অনুযায়ী এ বছরও এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি হজ পালনের সুযোগ পাবেন বলেও জানান যুগ্ম সচিব।
বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে এরই মধ্যে নিবন্ধন শুরু হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর হজের নিবন্ধন শুরু হয়। প্রথম দফায় ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল। পরে সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু নিবন্ধনে সাড়া না মেলায় নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।
সৌদির সঙ্গে বৈঠকে সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে ও বাংলাদেশের হজযাত্রীদের কল্যাণে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।
সৌদি আরব সফরে যাওয়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম, হজ অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম, হজ কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম, হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
চুক্তির সময় ধর্ম সচিব হজ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন বিষয় এবং হজযাত্রীদের সুযোগ বাড়ানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
হাব সভাপতি জানিয়েছেন, হজ এজেন্সির সংখ্যা না কমিয়ে অন্যান্য বছরের মতো সব এজেন্সিকে রেখে হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সৌদি উপমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এজেন্সির সংখ্যা না কমিয়ে আগের মতো রাখা হলে হজযাত্রীদের সেবা দিতে সুবিধা হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি বয়োবৃদ্ধসহ সকল হজযাত্রীর কল্যাণের কথা চিন্তা করে হজ এজেন্সির সংখ্যা না কমানোর পক্ষে বিস্তারিত যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। সৌদি উপমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
এছাড়া হজযাত্রীদের লাগেজ পরিবহন ও ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, মিনা আরাফায় তাঁবু ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও হজের দশদিন আগে এজেন্সিকে তাবু বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে উপমন্ত্রীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: