রাশিয়ার কাছ থেকে 'সুখোই সু-৩৫' যুদ্ধবিমান পাচ্ছে ইরান

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১২ মে ২০২৩ ১৮:১৭

 'সুখোই সু-৩৫' যুদ্ধবিমান 'সুখোই সু-৩৫' যুদ্ধবিমান

রাশিয়ার অত্যাধুনিক জঙ্গিবিমান সুখোই সু-৩৫ আগামী সপ্তাহে হাতে পাচ্ছে ইরান।

সুখোই-৩৫ ফাইটার জেট কেনার এই চুক্তি এরই মধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। নানা ধরনের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অবরোধের মধ্যে থাকা ইরানের বিমানবহর বেশ পুরাতন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে। সুখোই সু-৩৫ হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধবিমান। এতে রয়েছে অত্যন্ত উন্নতমানের রাডার ব্যবস্থা। এটি একই সঙ্গে ৩০ লক্ষ্যবস্তুকে চিহ্নিত করে আটটি লক্ষ্যবস্তুর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে পারে। এই যুদ্ধবিমান একই সময়ে আকাশ থেকে আকাশে, আকাশ থেকে ভূমিতে, জাহাজে ও রাডার ব্যবস্থার ওপর আঘাত হানতে পারে।সুখোই সু-৩৫ যুদ্ধবিমান লেজার বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্রও নিক্ষেপ করতে পারে। 

রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলোর অবরোধের মুখে পড়েছে। ফলে একদিকে এমন চুক্তি ইরানের জন্য যেমন অবরোধ এড়িয়ে সামরিক শক্তি আরো বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ হিসাবে হাজির হয়েছে, রাশিয়াও পশ্চিমো রাষ্ট্রগুলোকে এড়িয়ে খুঁজে নিতে পারছে সামরিক ভাণ্ডারের নতুন বাজার।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএ এ বিষয়ে ইরান সরকারের একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়া জানিয়েছে, তারা বিমানগুলো বিক্রির জন্য প্রস্তুত।’

জাতিসংঘের ২২৩১ রেজল্যুশন অনুযায়ী অস্ত্র কেনায় ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু সে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে ২০২০ সালের অক্টোবরেই। কেবল সামরিক নয়, অন্য নানা খাতেই গত বছর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তুলেছে ইরান।

ইরান রাশিয়াকে শাহেদ-১৩৬ ‘কামিকাৎজে' ড্রোন সরবরাহ করেছে৷ গত বছর ইউক্রেন অভিযোগ করে, এসব ড্রোন ইউক্রেনে বেসামরিক স্থাপনায় হামলার কাজে রাশিয়া ব্যবহার করছে। তবে ইরান এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে।

ইরান এবং রাশিয়ার মধ্যে বাড়তে থাকা সামরিক সহযোগিতা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি গত ডিসেম্বরেই ‘রাশিয়া ইরানের কাছে ফাইটার জেট বিক্রি করতে পারে’, এমন তথ্য জানিয়েছিলেন।

তিনি জানিয়েছিলেন, ইরানের পাইলটরা সুখোই বিমান উড্ডয়নের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এই বিমান পেলে ইরান তার ‘প্রতিবেশীদের তুলনায় আকাশ যুদ্ধে তুলনামূলক শক্তিশালী হয়ে উঠবে’ বলেও সতর্ক করে দিয়েছিলেন কিরবি।

এর আগে ইরান রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র কিনেছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: