ফিলিস্তিনে প্রথমবার রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিলো সৌদি আরব

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৩ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৩৮

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


ফিলিস্তিনে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিলো সৌদি আরব। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন সরকার।

ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কূটনৈতিক উপদেষ্টা মাজদি আল-খালিদি ১২ আগস্ট, শনিবার জর্ডানে অনাবাসী দূত হিসেবে রাষ্ট্রদূত নায়েফ আল-সুদাইরির পরিচয়পত্রের একটি অনুলিপি হাতে পেয়েছেন। জর্ডানে নিযুক্ত বর্তমান সৌদি রাষ্ট্রদূত আল-সুদাইরি জেরুজালেমে কনসাল জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন।

আল-খালিদি বলেছেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা দুই দেশ ও দুই ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের মধ্যকার শক্তিশালী সম্পর্ক আরও জোরদার করতে অবদান রাখবে।

ফিলিস্তিনে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের বিষয়টি ‌'গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ' হিসেবে অভিহিত করেছে সৌদি আরবও। রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টিভি চ্যানেল আল-এখবারিয়ায় সম্প্রচারিত ভিডিওতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপ ‌‌‌‌‌‌'ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভাইদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে এবং তাদের সব ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক উৎসাহ দেওয়ার' বিষয়ে বাদশাহ সালমান এবং যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।

ফিলিস্তিনি ফাইলগুলো এতদিন আম্মানের সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিল।

ফিলিস্তিনি বিশ্লেষক তালাল ওকাল বলেছেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্বকারী সরকারি অফিস প্রতিষ্ঠার পথে একটি পদক্ষেপ হলো এই রাষ্ট্রদূত নিয়োগ। তার মতে, সৌদি আরব একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম রাষ্ট্রে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এটি তার একটি বার্তাও বটে।

ইরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বহু দিনের চাওয়া সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ চুক্তি। তবে এ নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও খুব শিগগির চুক্তিটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে স্বীকার করেছেন ইসরায়েলি কর্মকর্তারা। এক্ষেত্রে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইস্যু অর্থাৎ, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধসহ রিয়াদের আরও কিছু শর্তকে প্রধান বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, চুক্তির আগে ইসরায়েলের ওপর বেশ কিছু শর্ত দিতে পারে রিয়াদ। এর মধ্যে থাকতে পারে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে দখলদারিত্ব বন্ধ, পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত না করার মতো বিষয়গুলো।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, এসব শর্তে ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থি সরকারের সম্মত না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।


সূত্র : আল-জাজিরা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: