আবুল মনসুর আহমদের ১২৫তম জন্মদিন আজ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:০৫

আবুল মনসুর আহমদ : সংগৃহীত ছবি আবুল মনসুর আহমদ : সংগৃহীত ছবি


প্রখ্যাত সাহিত্যিক, আইনজ্ঞ, সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ আবুল মনসুর আহমেদের ১২৫তম জন্মদিন আজ। ইত্তেহাদ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে তিনি ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখেন। হিন্দু-মুসলিম সমাজের সব কুসংস্কারের সরাসরি বিরোধিতা করেন তিনি। তার বিখ্যাত আত্মজীবনীমূলক রচনা ‘আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর (১৯৬৯)’।

আবুল মনসুর আহমেদ ১৮৯৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ধানিখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯১৭ সালে ম্যাট্রিক, ১৯১৯ সালে আইএ এবং ১৯২১ সালে বিএ পাস করেন। এরপর তিনি ১৯২৬ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত কলকাতা রিপন ল কলেজে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন এবং বিএল পাস করেন। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি প্রথমে ময়মনসিংহে আইনব্যবসা (১৯২৯-১৯৩৮) শুরু করেন ও পরে সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। তিনি অবিভক্ত বাংলায় সোলতান, মোহাম্মদী, দি মুসলমান, কৃষক, নবযুগ ও ইত্তেহাদসহ নানা পত্রিকায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৬ সালে তিনি অবিভক্ত বাংলার কলকাতা থেকে প্রকাশিত ইত্তেহাদের সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন।

আবুল মনসুর আহমদ খিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের যুক্তফ্রন্ট সরকারের প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী এবং ১৯৫৭ সালে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর আওয়ামী লীগ সরকারের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক শাসন জারি করার পর তিনি কারারুদ্ধ হন এবং ১৯৬২ সালে মুক্তি পান। এরপর তিনি রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

আবুল মনসুর আহমদ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলীয় রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকলেও সাহিত্যিক হিসেবে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। তিনি ব্যঙ্গাত্মক রচনায় বিশেষ সুনাম অর্জন করেন। ‘আয়না’ ও ‘ফুড কনফারেন্স’ গল্পগ্রন্থ দুটিতে তিনি মুসলিম সমাজের গোঁড়ামি, ধর্মান্ধতা, ভামিসহ নানা কুসংস্কারকে তির্যক ভাষায় তিনি তুলে ধরেন।

তার অন্যান্য রচনার মধ্যে আত্মকথা, আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর, শেরে বাংলা হইতে বঙ্গবন্ধু, হুযুর কেবলা, বাংলাদেশের কালচার, শিক্ষা সংস্কার, অনারেবল মিনিস্টার, সত্য-মিথ্যা, জীবন-ক্ষুধা, আসমানি পর্দা, গালিভারের সফরনামা, আহা যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারতাম, আবে-হায়াত প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, স্বাধীনতা দিবস পদক ও নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক পেয়েছেন। ১৯৭৯ সালের ১৮ মার্চ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: