ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ স্বচ্ছ ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম।
বুধবার দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে ঘিরে সরকারের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডার অংশ হিসেবে দেশজুড়ে নৈরাজ্যের চেষ্টা চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তবে এটিকে বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি কোনো হুমকি হিসেবে দেখি না। তারা কেবল বিচার বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে এমন কাজ করছে।”
বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি প্রসঙ্গে প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম সম্পূর্ণ আইনানুগভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এখন দেশে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে তা মোকাবিলা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
বিদেশি গণমাধ্যমে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার প্রচার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিদেশি কোনো গণমাধ্যমের ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে তারা কেন প্রচার করছে, তা তারাই ভালো জানে। তাদের উচিত এই প্রশ্ন করা যে, যিনি গণহত্যা সংঘটনের নির্দেশ দিয়েছেন, সেটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নিজেরাই প্রকাশ ও বিশ্লেষণ করেছে। তাই এই প্রোপাগান্ডার জবাবও তাদেরই দেওয়া উচিত।’
প্রসিকিউটর জানান, বুধবার ট্রাইব্যুনাল-১ এ মোট পাঁচটি মামলার দিন ধার্য ছিল। এর মধ্যে দুটি মামলায়—শাপলা চত্বরে গণহত্যা, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে চট্টগ্রামে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় চাওয়া হয়। আদালত আগামী ১২ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন নির্ধারণ করেছে।
চানখারপুল হত্যাকাণ্ড মামলায় দুইজন সাক্ষী হাজির হন। একজন জব্দতালিকার সাক্ষ্য শেষ করেছেন। অন্যজন তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম, যিনি তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে জবানবন্দি দিচ্ছেন। তার জবানবন্দি আংশিকভাবে শেষ হয়েছে, যা বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
একই দিন ট্রাইব্যুনাল-২ এ দুটি মামলার শুনানি হয়। আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে দুইজন সাক্ষীর হাজিরা দেওয়া হয়। সাক্ষী আশরাফুল ইসলামের জবানবন্দি শেষ হয়েছে, তার জেরা চলছে। আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল, তবে বিশেষ পরিস্থিতির কারণে সাক্ষী হাজির না হওয়ায় সময় চাওয়া হয়।
প্রসিকিউটর জানান, এ মামলায় এক ভুক্তভোগী আবুল হোসেনকে প্রথমে শনাক্ত করা না গেলেও ডিএনএ পরীক্ষায় তার পরিবারের সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে। লাশ উত্তোলন করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আবেদন করা হয়েছে, যা শিগগির শুনানিতে মঞ্জুর হওয়ার আশা করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: