
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খায়রুল হককে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেয়া হয়েছে।’
দেশের ঊনবিংশতম প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে অন্তত দুটি মামলা রয়েছে। দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগে গত ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
এর আগে ২৫ আগস্ট খায়রুলের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় মামলা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী ভূঁইয়া। মামলায় সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় পরিবর্তন ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। তবে তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি ডিবি কর্মকর্তা নাসিরুল।
খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর নিয়োগ কার্যকর হয়। পরের বছরের ১৭ মে তিনি অবসরে যান।
২০১১ সালের ১০ মে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয় তার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ। এর মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ হয়ে যায়। তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করে তিনি সংকটের সূচনা করেছিলেন। যা থেকে ফ্যাসিবাদ শেকড় গাড়ে।
হাইকোর্ট বিভাগে থাকাকালে শেখ মুজিব হত্যা মামলার রায় ও সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায় দিয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ঢাকার চার নদী রক্ষা, স্বাধীনতার ঘোষকসহ বিভিন্ন মামলার রায় দেন।
খায়রুল হক ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। মেয়াদ শেষ হলেও কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ করা হয়। গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গত বছরের ১৩ আগস্ট কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন খায়রুল হক ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: