
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও জনমতের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে জুলাই সনদ প্রকাশ করতে যাচ্ছে তার আলোকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ।
মঙ্গলবার বিকালে জাতীয় সংসদের এলডি হলে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বিকাল ৩টার পর নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে বৈঠকে বসে ঐকমত্য কমিশন। নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর চৌধুরী দীপুর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশ নেন।
আলী রীয়াজ বলেন, স্বাধীনতা- উত্তর এই প্রথমবারের মতো আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে সকলের অংশগ্রহণের একটা পথ-পদ্ধতি তৈরি করেছি। এটা সম্ভব হয়েছে এ দেশের গণমানুষের সংগ্রামের কারণে ও রাজনৈতিক দলের জন্য, যার অন্যতম অংশীদার নাগরিক ঐক্য। আমরা আশা করছি এই প্রক্রিয়াটা (আলোচনার) অব্যাহত রাখার মধ্য দিয়ে আমরা একটা জায়গায় দাঁড়াতে পারবো, যেখানে আমরা একটা জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারবো।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ জুলাই ১৪ তারিখ পর্যন্ত, আমরা এর মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে চাই। এর একটি অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে- জুলাই সনদ, যাতে আগামীর বাংলাদেশের একটি পথরেখা তৈরি হয়। এরই একটি অংশ হিসেবে নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে জুলাই সনদের একটা বড় রকমের ভূমিকা থাকবে। জাতীয় সনদের একটা বড় রকমের ভূমিকা থাকবে, এটা আমরা আশা করি। আমরা পথ খুঁজছি যাতে করে আমাদের লক্ষ্যগুলো অর্জনের পথ আমরা সুনির্দিষ্ট করতে পারি। একত্রে অগ্রসর হতে পারি, ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা অগ্রসর হতে পারি।
আলোচনায় নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর চৌধুরী দীপু বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশের মানুষের স্বাধীনতার আর গণতন্ত্রের যে আকাঙ্ক্ষা, এগুলো শুধু মুখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। চুয়ান্ন বছর পার হওয়ার পরে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার সে উদ্যোগটা নিয়েছে, এই উদ্যোগটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
আমরা বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র, মানুষের আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার, সুশাসনের অধিকার অর্থাৎ শতভাগ গণতন্ত্র মানুষ অর্জন করতে পারবে।
ছক আকারে ঐকমত্য কমিশনের মতামত চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, আপনাদের দেয়া স্প্রেড শিটে আমরা ১৬৬ টার মধ্যে ১১৪টাতে (সুপারিশ) একমত হয়েছি, ১১টিতে আংশিক একমত হয়েছি। বাকিগুলোতে একমত হতে পারিনি। আশা করি আলোচনায় আপনাদের ব্যাখ্যা জানতে পারবো।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি কাজ শুরু করে। এতে সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: