মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৯ মার্চ ২০২৫ ২০:১৭

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে গতকাল শুক্রবার স্বল্প সময়ের মধ্যে ৭ দশমিক ৭ ও ৬ দশমিক ৪ মাত্রার দুটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। তাই দুর্যোগ মোকাবেলায় সতর্কতা ও প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাহিনীটি।

শনিবার (২৯ মার্চ) ফায়ার সার্ভিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে পর পর দুইটি শক্তিশালী ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প দুটির মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৭.৭ ও ৬.৪। ফলে দেশ দুটি বেশ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

বাংলাদেশেও একই মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষত চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা অঞ্চল উচ্চ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

এ অবস্থায় ভূমিকম্প মোকাবেলায় সব পর্যায়ে পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ ও সচেতনতা তৈরিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর কিছু ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। এগুলো হলো,

(১) বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড ২০২০ অনুযায়ী ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন নির্মাণ করা;

(২) ঝুঁকিপূর্ণ ও পুরনো ভবনগুলোর সংস্কার ও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা;

(৩) সব বহুতল ও বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করা;

(৪) ইউটিলিটি সার্ভিস যেমন গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের লাইনের সঠিকতা নিশ্চিত করা;

(৫) ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পর্যায়ে বিভিন্ন করণীয় সম্পর্কে নিয়মিত মহড়া অনুশীলন ও প্রচারের ব্যবস্থা করা;

(৬) জরুরি টেলিফোন নম্বর যেমন ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, হাসপাতাল ও অন্যান্য জরুরি নাম্বারসমূহ ব্যক্তিগত পর্যায়ের পাশাপাশি সব ভবন বা স্থাপনায় সংরক্ষণ করা এবং তা দৃশ্যমান স্থানে লিখে রাখা;

(৭) ভলানটিয়ার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দুর্যোগকালীন সময়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা;

(৮) জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি যেমন- টর্চলাইট, রেডিও (অতিরিক্ত ব্যাটারিসহ), বাঁশি, হ্যামার, হেলমেট/কুশন, শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি, প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রী, ফার্স্ট এইড বক্স, শিশু যত্নের সামগ্রী ইত্যাদি বাসা-বাড়িতে নির্ধারিত স্থানে সংরক্ষণ করা যাতে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আটকা পরলে তা ব্যবহার করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা যায়;

(৯) সব পর্যায়ে তদারকি সংস্থার কার্যক্রমে সহযোগিতা করা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: