
২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশব্যাপী সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ৭১ এর বীর ও শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণ করেছে জাতি। ভোর থেকেই দলে দলে ফুল, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে আসেন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে ওঠে শহীদ বেদি। এ সময় অনেককে লাল-সবুজের পোশাক পরে আসতে দেখা গেছে। স্বাধীনতা দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে আসা অধিকাংশই জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্যে জোর দিয়েছেন। বলেছেন, আদর্শিক ভিন্নতা থাকলেও আমরা যেন জাতীয় স্বার্থে ২০২৪-এর মতো ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি সেটাই প্রত্যাশা। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের প্রয়োজনে ডাক পড়লে সবাই আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এক কাতারে দাঁড়াবো।
ভোর ৫টা ৫০ মিনিটের দিকে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে প্রথমে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সকাল ৬টা ১১ মিনিটে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর শহীদদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় অভিবাদন জানায়। বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর। এরপর শ্রদ্ধা জানান বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। শ্রদ্ধা জানান উপদেষ্টামণ্ডলী ও বিদেশি কূটনীতিকরাও।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের আটটি বিভাগীয় শহর ও প্রায় সবকটি জেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ দিনব্যাপি সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। মহান এই দিবসটি উপলক্ষ্যে জেলায় জেলায় জাতির শান্তি, সমৃদ্ধ, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদ, মন্দির,গির্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার,পথশিশু পুনর্বাসন কেন্দ্র, প্রতিবন্ধী কল্যাণ কেন্দ্র,ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবা যত্ন কেন্দ্র সমূহে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ভবন, প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ সমূহে জাতীয় পতাকাসহ বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন ও রঙিন নিশান দ্বারা সজ্জিত করা হয়।
ঢাকা বিভাগের গাজীপুর , নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ,মুন্সিগঞ্জ , মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ি জেলায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনাসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: