বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করতে প্রস্তুত নয় ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল শুক্রবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, "এক সপ্তাহ আগে শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে বাংলাদেশের বার্তা পাওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। ওই প্রাপ্তিস্বীকারের বাইরে তেমন কিছু বলার নেই।"
এ বিষয়ে ৩ জানুয়ারি প্রকাশিত হিন্দুস্তান টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবি বিধিসম্মতভাবে উপস্থাপন করেনি এবং চুক্তি অনুযায়ী ওই দাবি গ্রাহ্য না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। তবে, মুখপাত্র ওই প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ব্রিফিংয়ে সনাতন ধর্মীয় নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, জয়সোয়াল বলেন, "আমরা আগেই বলেছি, ওই ঘটনায় যাঁদের ধরা হয়েছে, তাঁরা সুবিচার পাবেন এবং বিচার ন্যায্য হবে।"
বাংলাদেশ থেকে তুরস্কের একটি সংস্থা থেকে সামরিক ট্যাংক কেনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, ভারত সবসময় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে তীক্ষ্ণ নজর রাখে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এছাড়া, পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি গতকাল ঢাকা সফরের সময় যে বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, ভারত একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ দেখতে চায় এবং সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে উন্নত করতে আগ্রহী।
তিনি আরও বলেন, "দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল লক্ষ্য দুই দেশের জনগণের কল্যাণ।"
ব্রিফিংয়ে দুই দেশে ধরা পড়া জেলেদের মুক্তির বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়। ৫ জানুয়ারি ৯৫ জন ভারতীয় ও ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে দুই দেশ থেকে মুক্তি পাবেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে মুখপাত্র বলেন, অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা এবং ফেরত পাঠানো নিরাপত্তারক্ষীদের কাজ এবং তারা এ কাজটি করছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: