আগামী ৩ থেকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মূল ভবনে জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচারকাজ চলবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ২৩ অক্টোবর, বুধবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শননে এসে একথা জানান আইন উপদেষ্টা।
এ সময়, মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির সঙ্গে করা বৈঠক এবং রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি। সংস্কার কাজ পরিদর্শনে তার সঙ্গে ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আইজিপির কাছে পাঠানো হয়েছে ।
এর আগে, গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের মামলায় পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
গণহত্যা মামলার বিষয়ে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, এই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের এখতিয়ার শুধু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের। এই মামলার অভিযোগুলোর তদন্তের দায়িত্ব ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশনের। সুতরাং দেশের যেসব থানায় যত মামলা হয়েছে, কোনো মামলার কোনো তদন্ত ওই পুলিশ করতে পারবে না। কোনো ম্যাজিস্ট্রেট আদালতও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, যারা এখনো মামলা করেননি তারা কোনো থানায় বা পুলিশের কাছে তাদের মামলা করার জন্য যাওয়ার প্রয়োজন নেই। তাঁরা অবশ্যই ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে (ধানমন্ডি–১১/এ, বাড়ি নং–৮৭) গিয়ে অভিযোগ দিতে পারেন। অথবা ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে এসে সরাসরি দাখিল করতে পারবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: