গত জুলাইয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সক্রিয় আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দিল্লির খ্যাতানামা ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের ডা. বিজয়া কুমার নামের এক নারী চিকিৎসসহ ছয়জনকে আটক করে দিল্লি পুলিশ।
এ ঘটনার পর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বেরিয়ে আসতে থাকে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। সে সময় জানা যায়, ডা. বিজয়া কুমার দিল্লির উপকণ্ঠে অবস্থিত নয়ডা উপশহরের ‘ইয়াথার্থ’ নামের একটি হাসপাতালে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তির কিডনি অপারেশন করেছেন। অপারেশনগুলো মূলত বাংলাদেশের দরিদ্র নাগরিকদের কিডনি অপসারণের জন্য করা হয়েছে। এ অপারেশনগুলো ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ পাচার চক্র দরিদ্র বাংলাদেশিদের অর্থের লোভ দেখিয়ে দিল্লির আশপাশের হাসপাতালে নিয়ে আসতেন। সেখানে চক্রের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকরা তাদের কিডনি খুলে নিতেন।
তবে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি তদন্তে এই বিষয়টির আদ্যোপান্ত সামনে উঠে এসেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের হাতে যে তথ্য প্রমাণ এসেছে তার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক অনুমোদনের ফর্ম এবং প্রচুর কল রেকর্ড। যার ভিত্তিতে ৫০ বছর বয়সী একজন সার্জনসহ ১০ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সার্জন অ্যাপোলো হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য প্রায় ২০-২৫টি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট পরিচালনা করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নয়ডার ইয়াথার্থ হাসপাতালগুলোও গত তিন বছর ধরে তদন্তাধীন। পুলিশ ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই দুটি হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের ওপর পরিচালিত ১২৫-১৩০ টিরও বেশি ট্রান্সপ্লান্টের বিশদ বিবরণ চেয়েছে।
কেস রেকর্ডের বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেগুলো সবকটি অভিযুক্ত সার্জন, ডা. বিজয়া রাজাকুমারী দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল যাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ১লা জুলাই। তিনি এখন জামিনে আছেন এবং আদালতে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ভারতের মেডিকেল ট্যুরিজম সেক্টরে কর্মরত একজন অনুবাদকসহ দুই বাংলাদেশিও রয়েছে। এই বছরের এপ্রিলে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি সতর্কবার্তায় বিদেশিদের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সঙ্গে জড়িত ‘বাণিজ্যিক লেনদেন’ বৃদ্ধির বিষয়টি উত্থাপন করা হয়।
তদন্ত শুরু হওয়ার পরে দিল্লি পুলিশ এই চক্রটির হদিস পায়। ১৭ জুন দায়ের করা একটি মামলা এবং এক মাস পরে চার্জশিট দাখিলের পর দিল্লি হাইকোর্ট ২৩ আগস্ট ডা. রাজাকুমারীকে জামিন দেয়।
পুলিশের মতে, রাজাকুমারী প্রাথমিকভাবে দিল্লিতে ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নয়ডার অ্যাপোলো হাসপাতাল এবং ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হায়দ্রাবাদ-ভিত্তিক অ্যাপোলো গ্রুপ অব হাসপাতালের অংশ। অন্য আসামিরাও এখন জামিনে রয়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর দিল্লির একটি আদালত প্রতারণা এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রসহ ভারতীয় সংবিধানের ধারায় এবং মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন ১৯৯৪-এর অধীনে দাখিল করা চার্জশিটটি বিবেচনা করে।
ভারতে অঙ্গ দান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয় শুধুমাত্র নিকটাত্মীয়দের মধ্যে। যেমন, বাবা-মা, ভাই-বোন, সন্তান, দাদা-দাদি, নাতি-নাতনি এবং স্ত্রীকে কিডনি দান করার অনুমতি দেওয়া হয়। অন্যান্য আত্মীয়রা বিশেষ পরিস্থিতিতে কিডনি দান করতে পারে সরকার-নিযুক্ত কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে। বিদেশি নাগরিকদের অবশ্যই একটি ‘ফর্ম ২১’ জমা দিতে হবে, যার জন্য মূলত সংশ্লিষ্ট দূতাবাস থেকে একটি অনাপত্তি সনদপত্র প্রয়োজন।
যেখানে বলা থাকবে এই অঙ্গদান ওই ব্যক্তি স্বেচ্ছায় করছেন, অর্থের বিনিময়ে বা বলপূর্বক নয়। রেকর্ড মোতাবেক এই ‘ফর্ম ২১’ দিল্লি-ঢাকা র্যাকেটের মূলে রয়েছে।
পুলিশের মতে, প্রতিটি অস্ত্রোপচারের জন্য এই ফর্মটি সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটটি জাল পরিবার এবং নথি ব্যবহার করে দাতা এবং প্রাপকদের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করেছে বলে অভিযোগ। এই পদ্ধতিতে ফর্ম ২১-এর অপব্যবহার ভারতে বেড়ে চলেছে।
কেস রেকর্ডের বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, নয়ডার অ্যাপোলো হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীদের নিয়ে ডা. রাজাকুমারী ১ জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৩ এর মধ্যে মোট ৬৬টি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি পরিচালনা করেছেন। এই একই সার্জন বিদেশিদের উপর ৭৮টি অপারেশন পরিচালনা করেছেন ২০২২ এর ৭ আগস্ট থেকে ২০২৪ এর ১৩ মে -এর মধ্যে। নয়ডার ইয়াথার্থ হাসপাতালে এই অস্ত্রোপচারগুলো করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬১জন বাংলাদেশি রোগী রয়েছেন ।
দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ১ এপ্রিল ২০১৯ থেকে ৩১ মে ২০২৪-এর মধ্যে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য ৯০টি ফর্ম-২১ যাচাইকরণ পর্যালোচনা করেছে। যাতে শুধুমাত্র একটির ক্ষেত্রে একজন নিকটাত্মীয়র অস্তিত্ব মিলেছে। বাকি ১৫টির ক্ষেত্রে যে নিকটাত্মীয়র উল্লেখ রয়েছে তা ভুয়া। বেশিরভাগই দাতাকে দূরের আত্মীয় হিসাবে চিত্রিত করে অস্ত্রোপচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৫০% ক্ষেত্রে দাতা ছিলেন প্রাপকের বোনের ছেলে, প্রাপকের স্ত্রীর ভাই (১২%), মায়ের বোনের ছেলে (৯%), স্বামীর বোনের ছেলে (৬%), কখনো বা বাবার বোনের ছেলে (৫%)।
স্ক্যানারের অধীনে ৬১টি অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে একজনও প্রাপকের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, স্ত্রী, ভাই-বোন নয়। রেকর্ডে কমপক্ষে ১৪টি ভুয়া পারিবারিক সম্পর্ক দেখানো হয়েছে। যেমন প্রাপকের বোনের ছেলে (৩১ %), প্রাপকের স্বামীর বোনের ছেলে (১৮%), প্রাপকের স্ত্রীর বোনের ছেলে (১৫%), প্রাপকের মায়ের বোনের ছেলে (১৫%) এবং প্রাপকের স্ত্রীর ভাই (৫ %)।
পুলিশের মতে, এই ধরনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, প্রাপকের নিকটাত্মীয়দের ভুলভাবে জাল নথি সংগ্রহ করা হয়েছিল যাতে বানোয়াট পারিবারিক সম্পর্ক তুলে ধরে জাল দাতা তৈরি করা যায়।বাংলাদেশের দরিদ্র ব্যক্তিদের ৪-৫ লাখ টাকায় (ভারতীয় মুদ্রায়) কিডনি দান করার জন্য প্রলুব্ধ করা হতো এবং প্রাপকদের থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) নেয়া হতো। নয়ডায় এই হার অনেক বেশি।
গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশিরা পুলিশকে বলেছে যে, তারা দাতাদের জন্য অর্থ প্রদানসহ প্রতি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য প্রায় ৮ লাখ টাকা আয় করতো। কথিত জাল নথিগুলো যেগুলো ফর্ম-২১ এর কপিগুলো সুরক্ষিত করতে ব্যবহৃত হয়েছিল, তার স্ক্রিনিং কিভাবে হয়েছিল সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে বাংলাদেশ হাইকমিশন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলতে চায়নি। রেকর্ডগুলো দেখায় যে, পুলিশ তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য হাইকমিশনের ভেরিফিকেশন রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে।
পুলিশের মতে, রেকর্ডে চিহ্নিত মেডিকেল অনুবাদক রাসেল এবং তার সহকর্মী রোকন ল্যাপটপে টেমপ্লেট সংরক্ষণ করার পরে নথিতে হেরফের করেছিলেন। তাদের কাছ থেকে একাধিক জিনিস জব্দ করেছে পুলিশ। যেমন, রোকনের বাড়িতে অফিসিয়াল স্টিকারসহ ‘ওয়েসিস আরাবিয়া প্রিমিয়াম ডেটস’ লেবেলযুক্ত একটি প্লাস্টিকের বাক্স মিলেছে।
সেইসঙ্গে বিভিন্ন কর্মকর্তার ২০টি সীলমোহর, ডিজিটাল স্বাক্ষর, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য, পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং রাজু ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরি থেকে মেডিকেল রিপোর্টসহ ৯৯১টি ওয়ার্ড ফাইল সম্বলিত একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার হয়েছে। রাজু ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরির আদতে কোনো অস্তিত্ব নেই।
পুলিশ জানায়, এসবই কিডনি প্রতিস্থাপনের সময় ভুয়া পারিবারিক সম্পর্ক দেখানোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো। রাসেলও জিজ্ঞাসাবাদের সময় দাবি করেছেন যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা রোগীর ফাইলগুলো ত্বরান্বিত করার জন্য প্রতি ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা (ভারতীয় মুদ্রায়) চার্জ করেছিলেন।
তদন্তের সময় পুলিশ দিল্লির জাসোলায় রোকনের ভাড়া করা বাসা থেকে ঢাকার একজন ৪৪ বছর বয়সী ব্যক্তির কিডনি প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত নথি উদ্ধার করেছে যা রোগীর ৩৫ বছর বয়সী ভাইয়ের মাধ্যমে ইয়াথার্থে পরিচালিত হয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
ওই ভাইকে আইনি দাতা হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। এই নথিগুলোর মধ্যে একটি ফর্ম-২১ অন্তর্ভুক্ত ছিল, যেখানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (কনস্যুলার) এর স্বাক্ষর এবং সীলমোহরসহ দাতা এবং প্রাপকের ফটোতে ‘অফিসিয়াল’ সিল রয়েছে।
পুলিশ জানায়, হাইকমিশনের দুটি জাল সিলও পাওয়া গেছে। রেকর্ডগুলোতে ফর্ম-২১-এর সাথে সংযুক্ত বেশ কিছু নথিও মিলেছে যেখানে একজন অ্যাডভোকেট, পুলিশ স্টেশন এবং দায়িত্বে থাকা অফিসারের কথিত সীল সম্বলিত বাংলাদেশ থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট রয়েছে, রয়েছে সিনিয়র সহকারী সচিব (কনস্যুলার); সিনিয়র সহকারী সচিব (আইন ও বিচার বিভাগ); ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার উইং এবং দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নথি।
পুলিশ অভিযোগ করেছে আসামিদের কাছ থেকে ভুয়া সিল মিলেছে। যার মধ্যে রয়েছে - দাতা, প্রাপক এবং অন্যান্য পরিবারের সদস্যদের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুদিত কপি, বাংলায় বিয়ের সার্টিফিকেট এবং তাদের ইংরেজি অনুবাদ, মৃত আত্মীয়দের মৃত্যু সনদপত্র। সিলগুলো দাতার হলফনামা, আত্মীয়দের কাছ থেকে একটি অনাপত্তি সনদ এবং একটি ভুয়া পারিবারিক নথি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের একটি পাবলিক নোটারি দ্বারা স্ট্যাম্প করা হয়েছিল।
৪৪ বছর বয়সী রোগীর ‘ভুয়া পারিবারিক সম্পর্ক’ মোতাবেক তার বাবা ২০১৯ সালে ক্যান্সারে মারা গেছেন। কাল্পনিক রাজু ল্যাবের রিপোর্টে রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রার কারণে তার মাকে দাতা হিসেবে অনুপযুক্ত হিসেবে দাবি করা হয়েছে। ল্যাবের অন্যান্য সনদপত্রগুলো রক্তের ধরণ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবস্থা বিবেচনা করে প্রাপকের স্ত্রী, তার বাবা এবং তার দুই ভাইকে বাতিল করেছে। একমাত্র স্ত্রীর বড় ভাইকে দাতা উপযুক্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে ল্যাব রিপোর্টে।
পুলিশের সন্দেহ তিনি একজন ভুয়া আত্মীয়। রাসেল পুলিশকে বলেছে যে দুটি হাসপাতালে অপারেশন করা হয়েছিল তারা নথি যাচাইয়ের জন্য রাজু ল্যাবে ই-মেইল পাঠাত। রেকর্ডগুলো দেখায়, অভিযুক্তের এই ই-মেইল অ্যাকাউন্টে অ্যাক্সেস ছিল এবং তারা নিজেরাই নথিগুলো যাচাই করতো।
মামলাটি নয়ডায় ইয়াথার্থ হাসপাতাল এবং অ্যাপোলো হাসপাতালে পরিচালিত ২০-২৫ টি কিডনি প্রতিস্থাপনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে। এই বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ইয়াথার্থ হাসপাতালের একজন মুখপাত্র বলেছেন, সাম্প্রতিক মামলার বিষয়ে আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে পরিদর্শনকারী পরামর্শদাতাসহ সমস্ত ক্ষেত্রে আমাদের কঠোর বহু-স্তরীয় যাচাইকরণ প্রক্রিয়া মেনে করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রক্রিয়াগুলোকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়েছি। এটি জোর দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যে ইয়াথার্থ হাসপাতাল সর্বদা ট্রান্সপ্লান্ট পদ্ধতির জন্য সমস্ত আইনি এবং নৈতিক নির্দেশিকা মেনে চলে। আমরা কর্তৃপক্ষকে তাদের তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। আমরা সততা এবং সহানুভূতির সঙ্গে মানুষের সেবা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সূত্র : যুগান্তর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: