চীনের সঙ্গে চলমান প্রকল্পগুলো চলবে উল্লেখ করে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা যে ঋণ নিয়েছি, তার সুদের হার কমানোর দাবি তুলে ধরেছি। সেইসঙ্গে ঋণ পরিশোধের সময়সীমাও বাড়ানোর প্রস্তাব করেছি।’
২০ আগস্ট, মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে চীনে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকীও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, চীনকে সুদের হার কমানোর বিষয়টি বলা হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি তার দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে জানাবেন।
তিনি বলেন, ‘চীনের রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছে, তোমরা তোমাদের কাজ চালিয়ে যাও। প্রকল্পের কাজের জন্য নতুন সরকার তাদের সমর্থন দেবে। আগে অনেক প্রকল্পে অপচয় হয়েছে, তা যেন না হয়; সে বিষয়েও বলা হয়েছে। আর আগে অযাচিতভাবে অনেক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা এমন কোনও প্রকল্প আর নেবো না।’
তিনি বলেন, মানুষের কল্যাণে কাজে লাগে, এমন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে ঋণের বোঝা বাড়ে; যা সাধারণ মানুষের ওপরই গিয়ে বর্তায়।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, সদ্য বিদায়ী সরকার মোট ১৮ লাখ কোটি টাকা ঋণের বোঝা রেখে গেছে; এ বিষয়ে উপদেষ্টার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আসলেই আমাদের জন্য বড় প্রেশার। এত বড় ঋণের বোঝা নিয়ে আমরা দায়িত্ব শুরু করেছি, এটা খুবই কষ্টকর।
এদিকে বৈঠক শুরুর আগে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশে চীন যেসব প্রকল্পে যুক্ত, সেগুলো তারা চালিয়ে যেতে চান। এজন্য বর্তমান সরকারের সহেযোগিতা প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সহযোগিতা পেলে প্রকল্পগুলো চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: