বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে চলমান সংঘাতে নিহতদের লাশ, পুলিশের গুলি মাড়িয়ে আলোচনায় বসতে রাজি নন আন্দোলনকারীরা। ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারের আইনমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব পাওয়ার পর আন্দোলনকারীদের বেশ কয়েকজন সমন্বয়ক ফেসবুকে এ ঘোষণা দেন।
আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, “গুলির সাথে কোনো সংলাপ হয় না। এই রক্তের সাথে বেইমানি করার থেকে আমার মৃত্যু শ্রেয়।”
আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম লেখেন, “একদিকে গুলি আর লাশ অন্যদিকে সংলাপ! আমার ভাইয়ের রক্তের উপর দিয়ে কিভাবে সংলাপ হতে পারে?”
আরেক সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, “রক্ত মাড়িয়ে সংলাপ নয়।” পরে যোগাযোগ করা হলে হাসনাত আব্দুল্লাহ জানান, আলোচনা তো আগেও হতে পারত। আলোচনা আর গোলাগুলি একসঙ্গে হয় না। লাশের ওপর দিয়ে তো আলোচনায় যাওয়া যায় না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক আরও বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতে আমাদের কিছু দাবি আছে। সেই দাবিগুলো পূরণ সাপেক্ষে আলোচনা হতে পারে। সেই দাবিগুলোর বিষয়ে আমাদের আলোচনা চলছে। দাবিগুলো পূর্ণাঙ্গভাবে লিখে আমরা লিখিত আকারে জানাব, যাতে করে ভুলভাবে আমাদের দাবি উত্থাপিত না হয়।
এদিকে, দুপুরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীরন যখন চাইবে, তখনই তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সরকার প্রস্তুত। একইসঙ্গে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা ৭ আগস্ট পর্যন্ত থাকলেও সেটি এগিয়ে এনে কোটার সমাধান করতে এটর্নি জেনারেলের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বলেও জানান সরকারের এ মন্ত্রী।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: