বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানাল ৫ দেশের ৭ ছাত্রসংগঠন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫৬

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সংহতি জানিয়েছে ভারতের ‘অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’ (এআইএসএ) সহ মোট ৫ দেশের ৭টি ছাত্রসংগঠন। ১৬ জুলাই বুধবার এআইএসএ-এর এক্স হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা একাধিক বিবৃতিতে এই সংহতির কথা জানানো হয়।

ভারতের এআইএসএ ছাড়াও সংহতি জানানো অন্য সংগঠনগুলো হলো—অল নেপাল ন্যাশনাল ফ্রি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ফেডারেশন (পাকিস্তান), সোশ্যালিস্ট স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (শ্রীলঙ্কা), সোশ্যালিস্ট ইয়ুথ ইউনিয়ন (শ্রীলঙ্কা), সোশ্যালিস্ট অ্যালায়েন্স (অস্ট্রেলিয়া), ইয়াং কমিউনিস্ট লিগ অব ব্রিটেন, সোয়াস লিবারেটেড জোন ফর গাজা (যুক্তরাজ্য)।

এক্সে পোস্ট করা ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের হাজার হাজার শিক্ষার্থী সরকারি চাকরিতে কোটার বিরুদ্ধে রাস্তায় এবং তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছে। তাঁরা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং পুলিশ দ্বারা সহিংস দমন-পীড়নের মুখোমুখি হয়েছেন। এতে নারী শিক্ষার্থীসহ আহত হয়েছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী। দুঃখজনকভাবে বিক্ষোভ চলাকালে বিভিন্ন জেলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬ শিক্ষার্থী।

আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বহু বছর ধরে বেকারত্বের উচ্চ হারের সঙ্গে মোকাবিলা করছে। বিশেষ করে ভালো বেতনের এবং স্থিতিশীল সরকারি চাকরির অভাবের কারণে। বেসরকারি খাতে চাকরির সম্ভাবনা বাড়লেও সরকারি চাকরির জন্য প্রতিযোগিতা তীব্র হয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ৪ লাখ নতুন স্নাতক মাত্র ৩ হাজার শূন্যপদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চাকরিতে কোটার প্রসঙ্গ টেনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের কোটাব্যবস্থায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিসহ নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর জন্য অর্ধেকেরও বেশি ভালো বেতনের সিভিল সার্ভিস পদ সংরক্ষণ করা হয়। শিক্ষার্থীরা এর যৌক্তিক সংস্কার দাবি করছে। উচ্চ বেতনের সরকারি চাকরিতে সাধারণ বরাদ্দের চেয়ে কোটা বেশি হওয়া অযৌক্তিক।

বিবৃতির শেষ অংশে বলা হয়, আমরা আন্তর্জাতিক ছাত্রসমাজকে বাংলাদেশের প্রতিবাদী ছাত্র ও যুবকদের মেধার ভিত্তিতে ন্যায্য নিয়োগ এবং সরকারি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে যেকোনো বৈষম্যমূলক প্রথা দূর করার ন্যায়সংগত দাবিকে সমর্থন করার জন্য আহ্বান জানাই। আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে ছাত্র ও যুবকদের উত্থাপিত সমস্যার সমাধানের জন্য এবং সবার জন্য সমান ও মর্যাদাপূর্ণ চাকরির সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য আবেদন করছি।

বিবৃতিতে সংহতি জানানো ছাত্রসংগঠনগুলোর তালিকায় বাংলাদেশি দুই সংগঠন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফেডারেশনের নামও উল্লেখ আছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: