বিমান পরিবহন সংগঠন (আইএটিএ) অভিযোগ করেছে, আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘন করে বিভিন্ন এয়ারলাইনের আয়ের ৩২০ মিলিয়ন ডলার পাওনা আটকে রেখেছে বাংলাদেশ। এই পাওনা পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
৩ জুন, রোববার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইএটিএ বলে, অপরিহার্য বিমান সংযোগ অব্যাহত রাখার জন্য এ অর্থ গুরুত্বপূর্ণ। আইএটিএ আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানের কাছে বিমান পরিবহন প্রতিষ্ঠানগুলোর পাওনার পরিমাণ ৪১১ মিলিয়ন ডলার।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশেষ করে পাকিস্তান ও বাংলাদেশে পরিস্থিতি গুরুতর। এ দেশ দুটির বাজার থেকে আয়ের ৭৩১ মিলিয়ন ডলার নিয়ে যেতে পারছে না—৪১১ মিলিয়ন ডলার পাকিস্তানে ও ৩২০ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে।
আইএটিএর মহাপরিচালক উইলি ওয়ালশ বলেন, এয়ারলাইনগুলোকে অপরিহার্য বিমান সংযোগ বজায় রাখতে হলে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে আটকে রাখা ৭৩১ মিলিয়ন ডলার শোধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এ সমস্যার সমাধান আছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে। আন্তর্জাতিক চুক্তির বাধ্যবাধকতা মেনে প্রতিষ্ঠানটিকে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোকে বৈদেশিক মুদ্রা নিতে দেওয়ায় অগ্রাধিকার দিতে হবে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অনেকটাই কমে গেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, খাদ্য, জ্বালানি ও সার আমদানির কারণে রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। এছাড়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার মান প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। ডলারের দাম এ সময়ে ৮৬ টাকা থেকে ১১৭ টাকায় উঠে গেছে।
বাংলাদেশ থেকে এয়ারলাইনগুলোর আয়ের টাকা নিয়ে যেতে বিলম্ব হচ্ছে মূলত ডলারের সংকটের কারণে।
কোভিডের আগে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতে প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার কর্মসংস্থান এবং ৭২৮ মিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ হতো। ২০২৩ সালে যাত্রীসংখ্যা কোভিডপূর্ব পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০৪০ সালের মধ্যে যাত্রীর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: