‘ক্রলিং পেগ’ মানছে না কিছু ব্যাংক : বাড়তি দরেই বাংলাদেশে ডলার কেনাবেচা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২২ মে ২০২৪ ০৮:১৮

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি


ডলার কেনাবেচায় ‘ক্রলিং পেগ’-এর নির্ধারিত দর মানছে না বাংলাদেশের কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংক। ২১ মে, মঙ্গলবার বেশ কিছু ব্যাংক প্রবাস আয় বা রেমিট্যান্স কিনেছে ১১৯ টাকায়। আর আমদানির এলসি বা ঋণপত্র খুলছে ১২০ টাকার বেশি দরে। যদিও গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের আমদানি এলসি খোলার জন্য সর্বনিম্ন রেট ছিল ১১৭ টাকা ৪৫ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ১১৭ টাকা ৮০ পয়সা।

কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও ট্রেজারিপ্রধানদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্যাংকাররা জানান, ডলারে যে রেট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে, সেই রেটে ডলার কিনতে পাওয়া যায় না। তাই সবাই আগের মতোই বাড়তি দরে ডলার কেনা শুরু করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি ব্যাংকের ট্রেজারিপ্রধান জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রলিং পেগ রেট ব্যাংকগুলো প্রথম দু-চার দিন মেনেছে।

এখন সবাই বাড়তি দরে ডলার কেনাবেচা করছে। গতকাল ১১৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ১১৯ টাকায় রেমিট্যান্স কেনা হয়। আর আমদানি এলসি খোলা হয় ১২০ টাকার বেশি। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকে নির্ধারিত দরে রিপোর্ট করা হয়। তবে বাকিটা আন্ডারলাইনে টাকায় লেনদেন করে।

তিনি বলেন, আগেও ডলার রেট ছিল ১১০ টাকা। কিন্তু কেউ এই রেট মানেনি। সবাই বাড়তি রেটেই ডলার কেনাবেচা করছিল। এখন আবার সেই অবস্থায় ফিরে গেছে। কারণ মার্কেটে ডলার রেট আরো বেশি। কেউ তো বেশি রেটে কিনে কম রেটে বিক্রি করবে না।

জানা যায়, ডলারের দর বাজারভিত্তিক করার আগে গত ৮ মার্চ ক্রলিং পেগ পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই পদ্ধতি চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের বিপরীতে টাকার বড় ধরনের অবমূল্যায়ন করেছে। ক্রলিং পেগ পদ্ধতির আওতায় ডলারের মধ্যবর্তী একটি দাম নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলোকে এই দরের আশপাশে স্বাধীনভাবে লেনদেন করতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মধ্যবর্তী এই দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। তবে মৌখিকভাবে ব্যাংকগুলোকে এক টাকা কমবেশি করার নির্দেশ দিয়েছে। অর্থনৈতিক সংকট ঠেকাতে আইএমএফের শর্ত মেনে ডলারের নতুন পদ্ধতি চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যস্থতায় ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি এবং বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ডিলারদের সংগঠন বাফেদা ডলারের একটি আনুষ্ঠানিক দর ঘোষণা করত। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি দরে লেনদেন হতো। নতুন পদ্ধতি চালুর আগে সর্বশেষ ঘোষিত দর ছিল ১১০ টাকা। কিন্তু প্রকৃত দর ছিল এরও বেশি। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণার রেট মানছে না ব্যাংকগুলো।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: