রাজধানী ঢাকার সড়কে দীর্ঘ যানজটে অতিষ্ঠ জনজীবন

মুনা নিউজডেস্ক | ২২ মার্চ ২০২৪ ০৫:২৪

ছবি : সংগৃহীত ছবি : সংগৃহীত


ঢাকার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি পর্যন্ত তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘ যানজটের কারণে রাজধানীবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কিছু কিছু সড়কে ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বাসে এক কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যায়নি।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, পল্টন, কারওয়ান বাজার, গুলশান, লিংক রোড, নদ্দা, বনানী, মহাখালী, কলাবাগান, নিউ মার্কেট ও ফার্মগেট এলাকা ঘুরে সড়কে যানজটের প্রায় একই রকম চিত্র দেখা যায়।


যাত্রাবাড়ী থেকে দুপুর পৌনে ১২টায় সায়েন্সল্যাবের উদ্দেশে রওনা হন মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘পুরো রাস্তাজুড়ে জ্যাম ছিল। যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্তানের জিপিও পার হতে লেগেছে সোয়া এক ঘণ্টা। আড়াই ঘণ্টায় সায়েন্সল্যাব পৌঁছতে পেরেছি।


রোজা রেখে এই গরমের মধ্যে এভাবে জ্যামে বসে থাকা খুবই কষ্টদায়ক।’
নীলক্ষেত থেকে রামপুরার উদ্দেশে দুপুর ২টার দিকে রওনা হন নাহিদ হাসান। তিনি বলেন, ‘নীলক্ষেত থেকে বই কিনে দ্রুত রামপুরা যাওয়ার জন্য শাহবাগ হয়ে কারওয়ান বাজার আসি। এরপর বাংলামোটর পেরিয়ে দেখলাম জ্যাম।


পরে গাড়ি থেকে নেমে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত আসি। কারওয়ান বাজার থেকে নিয়মিত যে সিএনজিগুলো রামপুরা যায় সেগুলোর একটাও না পেয়ে হেঁটে মগবাজার পর্যন্ত এসেছি। জ্যামের যা অবস্থা দেখলাম তাতে মনে হচ্ছে হেঁটে আসায় গাড়ি বা সিএনজির চেয়ে আগে এসেছি।’
নদ্দায় বাস থেকে নামেন তুহিন মিয়া। কথা হলে তিনি বলেন, ‘নতুন বাজার থেকে যমুনার সামনে পর্যন্ত জ্যাম।


এতটুকু রাস্তা আসতে আধা ঘণ্টা লাগল। রাস্তায় জ্যামের অবস্থা ভয়াবহ।’
রাজধানীর যানজট প্রসঙ্গে আজ সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. মুনিবুর রহমান বলেন, ‘বর্তমান বাস্তবতায় চার বা তিন রাস্তার ইন্টার সেকশনে যেকোনো এক লেনের যানবাহনের জন্য সিগন্যাল চালু করলে অন্য লেনগুলো সাময়িক বন্ধ রাখতে হয়। যেহেতু ইফতারের আগে সবারই ফিরতে হয়, তাই লাইন ম্যানেজমেন্টের বিষয়টি বিবেচনা করলে এটি চ্যালেঞ্জও বটে।’

তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত বাস স্টপেজে না দাঁড়িয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের টার্নিং পয়ন্টে যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন, যা সড়কে যান চলাচলের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটায়। এতে যানবাহনের গতি অনেক কমে যায়। যাত্রীদের গণপরিবহনে চলাচলের ক্ষেত্রে নির্ধারিত স্টপেজে গিয়ে অপেক্ষার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অনেক স্টপেজে যাত্রী না থাকলেও গণপরিবহন দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান নেয়। এতে যাত্রীদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ে এবং যানজট তৈরি হয়।’

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: