দুইদিন বন্ধ থাকার পর চালু হলো চট্টগ্রাম বন্দর

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৬ মে ২০২৩ ০৩:৪০

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

 

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে দুইদিন বন্ধ থাকার পর আজ পুরোদমে চালু হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালন কার্যক্রম। এরই সঙ্গে সাগরে পাঠিয়ে দেয়া পণ্যবাহী জাহাজ আজ জোয়ারের সময় ফেরত আসতে শুরু করবে বন্দর জেটিতে। জেটিতে কোনো জাহাজ না থাকায় গতকাল পর্যন্ত জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানো-নামানো শুরু করা যায়নি। পণ্য ওঠানো-নামানোর কার্যক্রমসহ খালাস কার্যক্রমও বন্দর চত্বর থেকে শুরু হবে।
এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর ১২ মে রাত ৯টায় ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেত জারি করে। এর পরই বন্দরের নিজস্ব সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। পরে বন্ধ করে দেয়া হয় বন্দরের পরিচালন কার্যক্রম। জেটি থেকে সব জাহাজ সাগরে সরিয়ে নিয়ে পণ্য ওঠানো-নামানো বন্ধের পাশাপাশি খালাসের কার্যক্রমও বন্ধ করে রাখা হয়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বণিক বার্তাকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থেকে জেটি, যন্ত্রপাতি ও পণ্যের সুরক্ষার জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছিলাম আমরা। তবে সুখবর হলো, বন্দরে কোনো ধরনের ক্ষতি অনুভূত হয়নি। আজ থেকেই পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হবে। জেটিতে জাহাজ ভেড়ানোর পর পণ্য ওঠানো-নামানোর কার্যক্রমও শুরু হবে।’

বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বন্দরের অবকাঠামোগত ক্ষতি না হলেও ব্যবসায়ীরা ঠিকই ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছেন। বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকা মানেই আমদানি হওয়া খাদ্যপণ্যসহ জরুরি পণ্য আটকে পড়া। কাঁচামালের সরবরাহ পেতে দেরি হলে উৎপাদন ব্যবস্থা পিছিয়ে যায়। ’

বন্দরের তথ্য মতে, জাহাজের আকারভেদে বন্দরের জেটি ও বহির্নোঙরে দুই জায়গাতেই পণ্য খালাস হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর বিপদসংকেত জারির সঙ্গে সঙ্গেই বন্দরে নিজস্ব সতর্কতা জারি করা হয়। সে অনুযায়ী, বন্দর জেটি থেকে পর্যায়ক্রমে ২০টি জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেয়ার পর মূল জেটি ফাঁকা হয়ে গেছে। নিজস্ব অ্যালার্ট জারির পর বন্দর চত্বর থেকেও পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়া হয়। নিরাপত্তার কারণে জেটি থেকে ফেরত যাওয়া জাহাজসহ বন্দরে এখন আমদানি পণ্য নিয়ে সমুদ্রগামী জাহাজ রয়েছে প্রায় ৭০টি। এর মধ্যে রয়েছে ডাল, গম, লবণ, অপরিশোধিত চিনি, ভারী শিল্পের কাঁচামাল প্রভৃতি। ছোট আকারের সমুদ্রগামী জাহাজগুলো আজ জেটিতে ভেড়ানোর পর পণ্য খালাস শুরু হবে। এছাড়া বৈরী আবহাওয়া কেটে গেলে বড় জাহাজগুলো (মাদার ভেসেল) থেকে সাগরেই লাইটার জাহাজের মাধ্যমে পণ্য খালাস কার্যক্রম শুরু হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: