হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া সহনীয় পর্যায়ে নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব। ২০২৩ সালের বিমান ভাড়া অযৌক্তিক ও অসহনীয় দাবি করে গতকাল বৃহস্পতিবার হাবের মহাসচিব ফারুক আহমদ সরদার স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বিমান প্রতিমন্ত্রীর বরাবর পাঠানো হয়েছে। হাবের চিঠিতে উল্লেখ করা হয় ২০১৯ সালে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল ১ ২৮ হাজার টাকা। ২০২২ সালে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ১২ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। মূলত: করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধে জেট ফুয়েলের মূল্য বৃদ্ধি এবং তখন করোনায় বিমানের কিছু আসন খালি রেখে ফ্লাইট পরিচালনার যিিক্ত দেখিয়ে।
২০২৩ সালে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ২০২২ সালের থেকে ৫৭ হাজার ৭৯৭ টাকা বৃদ্ধি করা হয়। এতে সাধারণ হজযাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হাবের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণে উল্লেখিত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে ২০২৩ সালের বর্ধিত ভাড়া থেকে কমিয়ে যৌক্তিক ও সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি। চিঠিতে ২০২৪ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণার জন্য হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সমন্বয়ে একটি সভা আয়োজনের জন্য বিমান মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়। একইসঙ্গে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বতন্ত্র টেকনিক্যাল কমিটি গঠনের মাধ্যমে বিমান ভাড়া নির্ধারণে প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে হাব।
এ বিষয়ে হাবের সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, আমরা আশা করছি আগামী বছর সুষ্ঠু , সুশৃঙ্খল ও সুন্দর হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে প্রতিমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিয়ে হজযাত্রীদের জন্য যৌক্তিক বিমান ভাড়া নির্ধারণ করবে। একইসঙ্গে বর্ধিত বিমান ভাড়া কমানোর জন্য কার্যকর সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা শুধু চিঠি দিয়ে বসে থাকবো না বরং সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের সঙ্গে ব ্যক্তিগত পর্যায়ে দেখা সাক্ষাৎ করে আলাপ-আলোচনা করবো। তাদের বুঝাবো কমানোর যৌক্তিকতা কী? এর সুফল কি হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ২৩ সালে এই অযৌক্তিক বিমান ভাড়া কমানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু হজের একেবারে শেষ সময় চলে আসায় সম্ভব হয়নি। আগামী বছর হজযাত্রীরা যেন স্বস্তির সঙ্গে হজ করতে পারেন এজন্য আগেভাগেই এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আশা করছি- সরকার এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: