
থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন ডানপন্থী ধনকুবের ব্যবসায়ী অনুতিন চার্নভিরাকুল। এ নিয়ে দুই বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো নতুন প্রধানমন্ত্রী পেলো দেশটি। গত সপ্তাহে আদালতের রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা পদচ্যুতির পর ৫৮ বছর বয়সী এই রাজনীতিক তার স্থলাভিষিক্ত হলেন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) তিনি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন। অনুতিন এর আগে উপপ্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বলা হচ্ছে, এই পরিস্থিতি সিনাওয়াত্রা পরিবারের জন্য বড় আঘাত। ২০০১ সালে পেতংতার্নের বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই পরিবারটি থাইল্যান্ডের রাজনীতিতে আধিপত্য ধরে রেখেছিল। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে থাকসিনকে বহনকারী ব্যক্তিগত বিমান থাইল্যান্ড ছাড়লে দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকসিন জানান, চিকিৎসার জন্য তিনি দুবাই গেছেন। তবে ৯ সেপ্টেম্বর আদালতের শুনানিতে হাজির হওয়ার জন্য দেশে ফিরবেন। ওই মামলায় তার আবারও কারাগারে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
অতীতে সিনাওয়াত্রাদের জনমুখী নীতি নিম্নআয়ের থাই জনগণের বিপুল সমর্থন পেলেও তা ব্যাংককের রক্ষণশীল রাজতন্ত্রী অভিজাতদের সঙ্গে সংঘাত বাড়ায়। থাকসিন ও তার বোন ইংলাক, দুজনই প্রধানমন্ত্রী হলেও ২০০৬ ও ২০১৪ সালে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: