
বৃটেনে অভিবাসীদের হোটেলে রাখার ‘ব্যয়বহুল’ পদ্ধতি ২০২৯ সালের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চ্যান্সেলর র্যাচেল রিভস। তবে বিরোধী দলের নেতারা ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলেছেন- এই অভিবাসীরা যাবেন কোথায়? রিভস বুধবার পার্লামেন্টে ঘোষণা দেন- আমরা হোটেলে অভিবাসী রাখার মতো ব্যর্থ নীতির অবসান ঘটাব।
এটি একদিকে ট্যাক্সদাতাদের উপর বাড়তি বোঝা, অন্যদিকে স্থানীয় সমাজের উপর চাপ। তিনি আরও জানান, ১ বিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় হবে যদি আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুততর করা যায় এবং ভবিষ্যতের বর্ডার সিকিউরিটি কমান্ডের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৮০ মিলিয়ন পাউন্ড। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩.১ বিলিয়ন পাউন্ড ব্যয় হয়েছে হোটেল ব্যবস্থায় অভিবাসী রাখার জন্য। এ খাতে আশ্রয়ে মোট খরচ ছিল ৪.৭ বিলিয়ন পাউন্ড। বর্তমানে ৩০,০০০-এরও বেশি অভিবাসী ২০০টিরও বেশি হোটেলে অবস্থান করছেন। তাদের অনেকেই অবৈধভাবে ছোট ছোট নৌকায় করে বৃটেনে গিয়েছেন।
বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি প্রশ্ন তুলেছে রিভসের পরিকল্পনার কার্যকারিতা নিয়ে। ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস ফিলিপ বলেন, লেবার পার্টি এমন একটা বাজেট দিয়েছে যেখানে ধরে নেওয়া হয়েছে হোটেলগুলো জাদুর মতো খালি হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, যখন তারা দায়িত্ব নেয়, তখনকার তুলনায় এখন আরও বেশি অভিবাসী হোটেলে অবস্থান করছে, অথচ কোথায় তাদের স্থানান্তর করা হবে- সেই পরিকল্পনা নেই। দলটির এমপি জুলিয়া লোপেজ আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানে হচ্ছে বেশি মানুষকে থাকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
অফিস শুধু দ্রুত ফাইল ক্লিয়ার করতে চায়- আর তার ফল হবে স্থানীয় কাউন্সিলগুলোর ঘাড়ে আরও চাপ পড়া। ট্রেজারি প্রকাশিত নতুন হিসাব বলছে, ২০২৮-২৯ অর্থবছরে অভিবাসন সহায়তায় খরচ হবে ২.৫ বিলিয়ন পাউন্ড।
তবে লেবার পার্টি দাবি করেছে খরচ কমানো হবে। সরকার ভাবছে পুরনো ফাঁকা টাওয়ার ব্লক, এমনকি পুরনো ছাত্রাবাসে অভিবাসীদের স্থানান্তর করার কথা। তবে ছায়া চ্যান্সেলর মেল স্ট্রাইড বলেন, সরকার কেবল সমস্যাটিকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিচ্ছে। তারা কি অভিবাসীদের ছড়িয়ে দেবে স্থানীয় কমিউনিটিতে? নাকি থাকবে কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা?
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: