যুদ্ধবিরতির মধ্যে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত পাকিস্তানি নাগরিক

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৪ মে ২০২৫ ১৮:৫৯

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে এক পাকিস্তানি নাগরিক নিহত হয়েছেন। দাবি করা হয়েছে, ওই ব্যক্তি আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের দিকে এগিয়ে আসছিলেন এবং সতর্ক করার পরও থামেননি।

এমন এক সময়ে এই গুলির ঘটনা ঘটেছে যখন দুই প্রতিদ্বন্দ্বী পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত ও পাকিস্তান মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যদিও দেশ দুইটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে।

বিএসএফ-এর দাবি, শুক্রবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় গুজরাট রাজ্যের বানাসকাঁঠা জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের বেড়ার দিকে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে এগোতে দেখা যায়। তাকে থামতে বলা হলেও সে অগ্রসর হতে থাকে, তাই বাহিনী গুলি চালাতে বাধ্য হয়।

এর আগে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার (২২ মে) একজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছেন।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কর্পস এক বিবৃতিতে জানায়, গোলাগুলিতে সেনাসদস্য গুরুতর আহত হন এবং সব ধরনের চিকিৎসা প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তিনি মারা যান।

কাশ্মীর অঞ্চলটি মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তানের স্বাধীনতার পর থেকেই দু’দেশের মধ্যে বিভক্ত রয়েছে। দুই পরমাণু শক্তিধর দেশই পুরো অঞ্চলটির দাবি করে।

পহেলগামে পর্যটকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে মারাত্মক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই হিন্দু পর্যটক। ভারত ওই হামলার জন্য পাকিস্তান-সমর্থিত গোষ্ঠীকে দায়ী করে। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

পরবর্তীতে ভারত ৭ মে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে হামলা চালায়, যার জবাবে দুই দেশের মধ্যে চার দিন ধরে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ চলে।

এতে উভয় পক্ষের ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন, যা ১৯৯৯ সালের কারগিল যুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ। ১০ মে দেশ দুইটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও সহিংসতা থামেনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: