পশ্চিম তীরে ভবন নির্মাণের অনুমতি দিচ্ছে ইসরায়েল

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৯ জুন ২০২৩ ১০:২১

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু : সংগৃহীত ছবি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু : সংগৃহীত ছবি


অধিকৃত পশ্চিম তীরে হাজার হাজার ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা পেশ করেছে ইসরায়েল সরকার। পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ না করার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ থাকার পরও এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির কট্টোর ডানপন্থী সরকার। খবর রয়টার্সের।

রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আগামী সপ্তাহে ইসরায়েলের সুপ্রিম প্ল্যানিং কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এ কাউন্সিলের আলোচ্যসূচিতেই রাখা হয়েছে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন স্থানে চার হাজার ৫৬০টি হাউজিং ইউনিট স্থাপনের অনুমোদন দেওয়ার পরিকল্পনা। দেশটির অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচকে এ বসতি স্থাপন ত্বরান্বিত করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে এক হাজার ৩৩২টি হাউজিং ইউনিট। ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ”পশ্চিম তীরে আমরা বসতি স্থাপন করেই যাবো ও ওই ভূখণ্ডে ইসরায়েলের প্রভাব আরও বিস্তৃত করবো।”

১৯৭৬ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে ইসরায়েলের দখল করে নেওয়া পশ্চিমতীরে বসতি স্থাপনকে বেশিরভাগ দেশই অবৈধ বলে বিবেচনা করে। ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের অন্যতম মূল কারণও হচ্ছে, সেখানে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ।

ফিলিস্তিনিরা পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গড়তে চায়, যার রাজধানী হবে পূর্ব জেরুজালেম। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে শুরু হওয়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা সেই ২০১৪ সাল থেকে থমকে থাকায় বিষয়টি এখনো বাস্তবে রূপ নেয়নি।

এর আগে গত মে মাসে পশ্চিম তীরের হোমেস নামের ফাঁড়িতে ইসরায়েলিদের প্রবেশের অনুমতি দেয় দেশটির সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড। এর মাধ্যমে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে বসতি নির্মাণের সুযোগ পায় ইহুদিরা।

ফিলিস্তিনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ায় এমন সিদ্ধান্ত না নিতে ইসরায়েলকে বারবার অনুরোধ করেই আসছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ বিশেষ করে হোমেস ফাঁড়িতে কিছু না করতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল৷

সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ”হোমেস ফাঁড়িতে স্থায়ী বসতি নির্মাণের অনুমতি দেওয়া সংক্রান্ত ইসরায়েল সরকারের আদেশে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী ওই এলাকাটি ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে গড়ে উঠেছে।”

গত বছরের ডিসেম্বরে ইসরায়েলের ক্ষমতায় ফিরে আসেন ডানপন্থি ইসরায়েলি নেতা বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এর পর থেকেই পশ্চিম তীরে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ইসরায়েলের আগ্রাসন আরবদের মধ্যে আরও গভীর উদ্বেগ তৈরি করেছে।

 

সূত্র: রয়টার্স



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: