
ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হলে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা। গতকাল শুক্রবার সম্প্রচারমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রুটে বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হলে, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়ার সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে পুনঃস্থাপন করা উচিত।’
ন্যাটো মহাসচিব আরও বলেন, মস্কোর ওপর চাপ বজায় রাখা দরকার, যাতে চলমান যুদ্ধবিরতি আলোচনায় তারা গুরুত্বের সঙ্গে অংশ নেয়। রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি। সে জন্যই আমাদের নিষেধাজ্ঞাগুলো আছে। রাশিয়া সম্পর্কে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে রাশিয়া রাশিয়ার জায়গাতেই থাকবে, কোথাও যাবে না।’
হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর এই বক্তব্য দিলেন মার্ক রুটে। হোয়াইট হাউসের বৈঠকে এ দুই নেতা ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
ইউক্রেনে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নযোগ্য কি না, সে বিষয়ে রুটে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন। তবে তিনি এটিকে ‘খুবই বুদ্ধিদীপ্ত পরিকল্পনা’ বলে প্রশংসা করেন এবং জানান, সাম্প্রতিক অগ্রগতিতে তিনি ‘খুশি।’ তিনি বলেন, ‘স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসন এই যুদ্ধে অচলাবস্থা ভেঙেছেন, কারণ তিনি রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু করেছেন। আমি মনে করি, এটি ইউক্রেনের জন্য ইতিবাচক।’
ন্যাটো মহাসচিব বলেন, ‘ প্রশাসন এখন রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করছে, তারা কোথায় দাঁড়িয়ে আছে, তা বোঝার জন্য। এটি ধাপে ধাপে এগোবে। তবে আগামী কয়েক ঘণ্টা ও দিনে কী ঘটবে, তা অনুমান করা কঠিন। রুটে আরও বলেন, ‘ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের অনেক উপায় রয়েছে।’ তবে তিনি স্বীকার করেন, ‘ন্যাটোর পক্ষে সরাসরি জড়িত হওয়া কঠিন হবে।’
রুটে জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে ওভাল অফিসে তাঁর আলোচনা ‘খুবই ইতিবাচক’ ছিল এবং তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা জোটের প্রতি ‘একটি সম্পূর্ণ স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি’ অনুভব করেছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: