
আগামী সপ্তাহ থেকে নেপালের কাঠমান্ডুর রাস্তায় দূষণকারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছে কাঠমান্ডু মেট্রোপলিটন সিটির অধীন পরিবেশ বিভাগ। কারণ অনেক যানবাহনের মালিক ও চালক মহানগরীর পরিবেশ সতর্কতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে জানিয়েছে তারা। মঙ্গলবার নেপালের সংবাদমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্টের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
কর্মকর্তারা বলছেন, অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি কালো ধোঁয়া নির্গত করা অনেক যানবাহনকে জরিমানা করা হয়েছে। তারপরও তারা সিটি অফিসের সতর্কতা উপেক্ষা করেছে।
কাঠমান্ডু মেট্রোপলিটন সিটি অফিসের ট্রাফিক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা জগৎমান শ্রেষ্ঠা বলেন, 'আমরা দূষণকারী যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে একটি হলো আগামী সপ্তাহ থেকে এসব যানবাহন রাস্তায় চলাচল নিষিদ্ধ করা হবে। সংবিধান প্রদত্ত ম্যান্ডেট অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারকে দেওয়া ক্ষমতায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
কর্মকর্তারা বলছেন, যদিও যানবাহন নির্গমন পরীক্ষা মূলত ফেডারেল এজেন্সির দায়িত্ব। তবে নেপালের সংবিধান স্থানীয় সরকারকেও দূষণ কমাতে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা দিয়েছে।
কাঠমান্ডু পৌরসভার পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ আইন-২০২১ অনুযায়ী এই দূষণ নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাঠমান্ডুর রাস্তায় চলাচলকারী প্রায় এক হাজার তিনশ যানবাহনের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ডিজেলচালিত যানবাহন বাস, মাইক্রো-বাস ও পিকআপে অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে বেশি কালো ধোঁয়া নির্গত হতে দেখা গেছে। একইভাবে ৩০ শতাংশ পেট্রোলচালিত গাড়িও পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।
জগৎমান শ্রেষ্ঠা বলেন, 'আমাদের উদ্বেগের বিষয় হলো- পরিবহন ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে সবুজ স্টিকার পাওয়ার দিনই কিছু গাড়ি আমাদের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। আমি বলছি না, সবুজ স্টিকার সরবরাহের প্রক্রিয়ায় কিছু ভুল আছে। তবে যানবাহনের মালিকরাও কম ধোঁয়া দেখানোর জন্য জ্বালানির মাত্রা কম রেখে সিস্টেমটিকে কৌশলে পরিণত করতে পারে।'
কাঠমান্ডু মহানগরীর কর্মকর্তারা বলছেন, ২০ বছরের বেশি পুরনো যানবাহনে বেশি সমস্যা দেখা গেছে। যানজট কমাতে, বায়ুদূষণ কমাতে ও পুরনো যানবাহনের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে সরকার দেশজুড়ে ২০ বছরের বেশি পুরানো যানবাহন নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনার কথা বলেছিল। তবে সেই সিদ্ধান্ত এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
এদিকে সিটি অফিস জানিয়েছে, চালক ও হেলপারদের কাছ থেকে হয়রানি ও দুর্ব্যবহারের বিষয়ে যাত্রীদের অভিযোগ গ্রহণ করে শিগগির আসন পরিষ্কার রাখার বাধ্যতামূলক নিয়ম প্রয়োগ করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: