সাংবাদিকতায় ফিরছেন বরিস জনসন

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৭ জুন ২০২৩ ১১:০২

ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন : সংগৃহীত ছবি ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন : সংগৃহীত ছবি


ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা ডেইলি মেইলে কলামিস্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এখন থেকে প্রতি শনিবার পত্রিকাটিতে তিনি কলাম লিখবেন বলে জানিয়েছে ডেইলি মেইল। প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়ার পাশাপাশি সম্প্রতি এমপি পদ থেকেও পদত্যাগ করেছেন তিনি। জনসনের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল সাংবাদিকতা দিয়ে।

কলামে যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নানান পদক্ষেপ বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে রয়টার্স।

ডেইলি মেইল জানিয়েছে, ‘ব্যবসা বিষয়ে সবচেয়ে বুদ্ধিমান, মৌলিক ও খ্যাতিমান লেখকদের একজন বরিস। আপনি বরিস জনসনের ভক্ত হন বা না হন, ওয়েস্টমিনস্টারসহ (ব্রিটিশ পার্লামেন্ট) বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে তার লেখা পড়তেই হবে। আজ শনিবার বিকেল ৫টার দিকে তাঁর দুর্দান্ত অভিষেক অবতারণা হবে, যেখানে থাকছে চমক।’

ব্রিটেনের আলোচিত প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে অন্যতম বরিস জনসন। গত ৯ জুন তিনি এমপি পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর আগে গত বছর পার্টিগেইট কেলেঙ্কারির কারণে প্রধানমন্ত্রির পদও ছাড়তে হয়েছিল।

ডেইলি টেলিগ্রাফের ব্রাসেলস সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তীব্র সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। একসময় রাজনীতি আর সাংবাদিকতা একসঙ্গে চালিয়েছিলেন তিনি। সংসদ সদস্য এবং স্পেক্টেটর ম্যাগাজিনের সম্পাদকের দায়িত্ব একসঙ্গে সামলেছেন জনসন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত ডেইলি টেলিগ্রাফে তিনি নিয়মিত কলামও লিখতেন।

প্রধানমন্ত্রীত্ব যাওয়ার পরও বরিস জনসন ব্যস্ত সময় পার করছেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে বক্তব্য দিয়ে ইতোমধ্যে লাখ লাখ পাউন্ড উপার্জন করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

বরিস জনসনের রাজনৈতিক ও পেশাগত জীবন ব্যাপক আলোচিত। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র প্রতিনিধির পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু সাংবাদিকতার মাধ্যমেই। ১৯৮৭ সালে টাইমস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি; কিন্তু কোনো এক প্রতিবেদনে মনগড়া মন্তব্য দেওয়ার কারণে সেই চাকরি হারাতে হয় তাকে।

 

সূত্র : রয়টার্স / ডেইলি মেইল



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: