আরও ৩ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস, বদলে ৩৬৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৯

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

আরও তিন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) কাছে হস্তান্তর করেছে হামাসের সামরিক শাখা। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন, ইয়ার হর্ন, সাগি ডেকেল-চেন এবং আলেকজান্ডার ট্রুফানোভ। তারা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের হাতে জিম্মি হন।

প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় ইসরায়েলি কারাগার থেকে ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৩৩ জন সাধারণ বন্দি এবং ৩৬ জন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দি রয়েছে।

ফিলিস্তিনের প্রিজনার মিডিয়া অফিসের মতে, এ পর্যন্ত প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির প্রক্রিয়া চলছে। এই বন্দিরা ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর অভিযোগ ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে বন্দি ছিলেন। ইসরায়েলি সরকার শনিবার ৩৬৯ জন বন্দি মুক্তি দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। জাতিসংঘের হিসাব মতে, গাজায় ভবনধসে এ পর্যন্ত ৪২ মিলিয়ন টনেরও বেশি ধ্বংসস্তূপ জমা হয়েছে। এ ধ্বংসস্তূপগুলো যদি একসঙ্গে এক জায়গায় রাখা যায়, তাহলে তা মিসরের ১১টি গ্রেট পিরামিডের সমান হবে। এ ধ্বংসস্তূপ সরাতে ব্যয় হবে ৫০০ থেকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি)।

ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রামের হিসাব অনুসারে, গাজায় ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা অঞ্চলটির মোট ভবনের অর্ধেকের বেশি। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে এক-চতুর্থাংশ পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। এ ছাড়া এক-দশমাংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এক-তৃতীয়াংশ বেশ খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ফেলার জন্য ২৫০ থেকে ৫০০ হেক্টর জমির প্রয়োজন পড়বে।

গাজাভিত্তিক জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘অবকাঠামোর যে পরিমাণ ক্ষতি করা হয়েছে, তা পাগলামির পর্যায়ে পড়ে, দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে একটি ভবনও নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত অর্থেই এ অঞ্চলের ভৌগোলিক চিত্র পরিবর্তিত হয়ে গেছে। যেখানে আগে পাহাড় ছিল না, এখন সেখানে পাহাড় হয়ে গেছে। দুই হাজার পাউন্ডের বোমাগুলো আক্ষরিক অর্থেই এ অঞ্চলের মানচিত্র বদলে দিয়েছে।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: