
দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শিক্ষক ৮ বছর বয়সী এক শিশুকে হত্যা করেছেন। ঘটনাটি পুরো দেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। দেজিওন শহরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া এই ঘটনাটি সবাইকে হতবাক করেছে। খবর দিয়েছে বিবিসি।
সোমবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্কুলের দ্বিতীয় তলায় এই ঘটনাটি ঘটে। শিশুটি ছুরি দিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং পরে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষকও ছুরিকাহত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিলেন এবং তার আঘাত সম্ভবত আত্মহত্যার চেষ্টা হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক মঙ্গলবার এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, "এমন ঘটনা যাতে আর কখনো না ঘটে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।" ওই স্কুলের বাইরের কিছু স্থানীয় মানুষ শোক প্রকাশ করে ফুল এবং টেডি বিয়ার পুতুল রেখে এসেছে শিশুটির স্মরণে। স্কুলটি মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বন্ধ ছিল।
ওই শিক্ষক গত ৯ ডিসেম্বর তার মানসিক চাপের কারণে ছয় মাসের ছুটি চেয়েছিলেন, কিন্তু মাত্র ২০ দিন পর চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি আবার স্কুলে ফিরে আসেন। স্থানীয় শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, ওই শিক্ষকের শিশুটির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না।
হামলার আগে, ওই শিক্ষক অন্য একটি শিক্ষককে হেডলক দিয়ে আক্রমণ করেন। ঘটনার দিন, দুপুরে দুজন শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা স্কুলে এসে সেই বিবাদ (altercation) এর তদন্ত করছিলেন। হামলার পর শিশুটি নিখোঁজ ছিল, এবং বাসচালক বিদ্যালয়কে জানিয়েছিল যে, শিশুটি ওই দিন বাসে ওঠেনি।
দক্ষিণ কোরিয়া সাধারণত নিরাপদ দেশ, তবে সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক অপরাধের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ছুরিকাঘাতের ঘটনা অন্যতম। প্রেসিডেন্ট চোই বলেছেন, "এমন ঘটনার ফলে আমি ব্যথিত, কারণ একটি স্কুল আমাদের সবচেয়ে নিরাপদ স্থান হওয়া উচিত।"
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: