জাপানে আবারও শক্তিশালী ভূকম্পন; সুনামি সতর্কতা

মুনা নিউজ ডেস্ক | ১৪ জানুয়ারী ২০২৫ ১৬:০৫

ফাইল ছবি ফাইল ছবি

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল জাপান। জাপানের সময় অনুযায়ী রাত সোয়া ৯টা নাগাদ কেঁপে ওঠে সেদেশের মাটি। ইতিমধ্যে গোটা দেশজুড়ে জারি হয়েছে সুনামি সতর্কতা। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৯। 

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের প্রথম দিনেই ৭.৬ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল জাপান। বিপর্যয়ে প্রাণ গিয়েছিল ৪৭০ বেশি মানুষের। গত বছরের ১ জানুয়ারি কম্পনের পর দুদিন ধরে চলে আফটার শক। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল বড় বড় বাড়ি, হোটেল। মাঝখান থেকে দুভাগ হয়ে যায় একাধিক হাইওয়ে। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছিল বিস্তর। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় ধবংসের সেই ছবি দেখে মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল বিশ্ববাসীর। সেই ক্ষত এখনও দগদগে। এর মাঝেই নতুন বছরের শুরুতে ফের কাঁপল জাপান। প্রথম কম্পন ও অনুভূত হয় মিয়াজাকি প্রদেশের কাছে অবস্থিত কিউশু দ্বীপে। মাটির ৩৭ কিলোমিটার নিচে ভূমিকম্পের উৎসস্থল। তীব্র কম্পনের পরই সুনামির সতর্কতা জারি করে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা।

এক্স হ্যান্ডেলে তারা জানায়, ‘সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে, উপকূলবর্তী এলাকায় যাবেন না। ভূমিকম্পের জেরে সমুদ্রতটে এক মিটার (তিন ফুট) উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। সকলে সাবধান থাকুন।’

ইতিমধ্যে ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ঢেউ লক্ষ্য করা গিয়েছে সেখানে। তবে ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। পশ্চিমাঞ্চলীয় দ্বীপপুঞ্জ কিউশু এবং শিকোকুর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে এক মিটার উচ্চতার সুনামির সতর্কতা জারি হয়েছে। বিল্ডিংগুলো শক্তিশালী ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে জাপানের কঠোর নির্মাণ বিধি রয়েছে। 

তা সত্ত্বেও ২০১১ সালের মার্চ মাসে উত্তর-পূর্ব জাপানের সমুদ্রের নিচে একটি বিশাল ৯.০-মাত্রার ভূমিকম্পের স্মৃতি এখনো ভুলতে পারেননি জাপানবাসী। সেই সুনামিতে প্রাণ হারান ১৮,৫০০ জন মানুষ। ২০১১ সালের সুনামি ফুকুশিমা পারমাণবিক প্ল্যান্টে তিনটি চুল্লিকে নষ্ট করে দেয়, যা জাপানের যুদ্ধোত্তর সবচেয়ে খারাপ বিপর্যয় এবং চেরনোবিলের পর সবচেয়ে গুরুতর পারমাণবিক দুর্ঘটনা ঘটায়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: