বাবা-মা-দাদা-দাদিকে স্থায়ী বাসিন্দা (পিআর) করার আবেদন গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে কানাডা। গতকাল শুক্রবার কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব (আইআরসিসি) বিভাগের ঘোষণায় জানানো হয়, নতুন করে এ ধরনের আবেদন আর গ্রহণ করা হবে না। এতদিন করা আবেদনগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করা হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বাবা-মা এবং দাদা-দাদির জন্য স্থায়ী বসবাসের স্পনসরশিপের নতুন আবেদন গ্রহণ করা সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে কানাডা। কানাডার সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে অনেক বাংলাদেশি ও ভারতীয় পরিবার অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছেন।
কয়েক দশক ধরে কানাডায় স্থায়ী বাসিন্দারা বাবা-মা এবং দাদা-দাদি স্পনসরশিপ (পিজিপি) কর্মসূচির আওতায় স্থায়ী বসবাসের (পিআর) জন্য বাবা-মা এবং দাদা-দাদিকে দেশটিতে নেওয়ার জন্য স্পনসর করতে পারতেন। কিন্তু বহুল জনপ্রিয় এই সুযোগ আর থাকছে না।
এই সংবাদ প্রথম প্রকাশ হয় কানাডা গ্যাজেট ও কানাডিয়ান প্রেস নামক সংবাদ সংস্থা। আইআরসিসি বলছে, তারা ২০২৪ সালে জমা দেওয়া আবেদনগুলোর প্রক্রিয়াকরণ চালিয়ে যাবে। চলতি বছরে পিজিপি কর্মসূচির আওতায় কোনো নতুন আবেদন গ্রহণ করা হবে না। অতীতে এই কর্মসূচির আওতায় কানাডার স্থায়ী বাসিন্দারা দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য তাদের বাবা-মা এবং দাদা-দাদিকে নিয়ে যেতে পারতেন।
এই ঘোষণা কতদিন পর্যন্ত থাকবে, তা নির্দিষ্ট করে বলেনি সরকার। তবে, পরবর্তী ঘোষণা দেওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলেই জানানো হয়। এই ঘোষণা গত ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।
এর পরিবর্তে এখন দেশটিতে বসবাসরত পরিবারগুলো সুপার ভিসা কর্মসূচিকে বিবেচনায় নিতে পারবেন। এই ভিসার আওতায় স্থায়ী বাসিন্দাদের আত্মীয়রা টানা পাঁচ বছর পর্যন্ত কানাডায় বসবাসের অনুমতি পাবেন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম কানাডা গেজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কঠোর অভিবাসন নীতি গ্রহণ করায় চলতি বছরের মাঝেই ১২ লাখের বেশি অস্থায়ী বাসিন্দা কানাডা ছেড়ে যেতে বাধ্য হন। এ ছাড়া বার্ষিক পিআর কোটা আগে ৫ লাখ নির্ধারিত থাকলেও চলতি বছরে তা কমিয়ে ৩ লাখ ৯৫ হাজার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এই সংখ্যা ২০২৬ সালে ৩ লাখ ৮০ হাজার এবং ২০২৭ সালে ৩ লাখ ৬৫ হাজারে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: