ভারত-পাকিস্তানের স্থলভাগের আরও কাছাকাছি পৌঁছালো অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়। এটি ১৫ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভারত-পাকিস্তানের উপকূলে আঘাত হানার কথা থাকলে এরই মধ্যে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে। উত্তাল হয়ে উঠেছে সাগর। এর প্রভাবে ভারতে অন্তত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় গুজরাটের দুটি উপকূলীয় জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)।
ঝড়টি বর্তমানে ভারতের জাখাউ বন্দর থেকে ২৮০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে এবং দেবভূমি দ্বারকা থেকে ২৯০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এটি ভারতের গুজরাট ও পাকিস্তানের করাচি উপকূলে তীব্র শক্তিতে আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় গুজরাটের উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে অন্তত ৩৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। সম্ভাব্য ঝড় আক্রান্ত এলাকাগুলো দিয়ে যাতায়াতকারী অন্তত ৯৫টি ট্রেনের সূচি স্থগিত করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রস্তুতি তদারকিতে বারবার বৈঠক করছেন ভারতের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিয়মিত এ বিষয়ে খোঁজখবর রাখছেন।
‘বিপর্যয়’ একপর্যায়ে শক্তিবৃদ্ধি করে অত্যাধিক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলেও মঙ্গলবার কিছুটা শক্তি হারিয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এরপরও উপকূলে আঘাত হানার পর ঝড়টি ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তান সরকারও উপকূলীয় এলাকাগুলো থেকে আনুমানিক ৮০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে। ঝড় মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সব মহলকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
মানুষের সাগরপাড়ে যাওয়া আটকাতে করাচিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সৈকত ও এর আশপাশের সড়কগুলো। ঝড় অতিক্রম না করা পর্যন্ত জেলেদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষগুলো।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের নামকরণ করেছে বাংলাদেশ। মূলত বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়গুলোর নামকরণ করে এ অঞ্চলের ১৩টি দেশ। প্যানেল অন ট্রপিকাল সাইক্লোনের কাছে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের নামের প্রস্তাবিত তালিকা জমা পড়ে। সেখান থেকেই বেছে নেওয়া হয় পরবর্তী ঝড়ের নাম।
সূত্র: এনডিটিভি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: