গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি মন্ত্রী

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৮:০৬

সংগৃহীত ছবি সংগৃহীত ছবি

যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্তজাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সফর করবেন ইসরায়েলের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। ২৫ নভেম্বর, সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়ানেট নিউজ।

এতে বলা হয়েছে, আগামী রোববার হোয়াইট হাউস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটন সফরে যাবেন গ্যালান্ট। হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার পর ইসরায়েলের বাইরে এটি গ্যালান্টের প্রথম সফর।

গত বুধবার আইসিসির বিচারকরা এক রায়ে বলেছেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট জোরপূর্বক খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে গাজায় ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছে। পাশাপাশি হত্যা, নিপীড়ন এবং অন্যান্য অমানবিক কাজ করে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন। আমেরিকান কর্মকর্তারা আইসিসির এই রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং আদালতের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

১৯৯৮ সালে যখন রোম সংবিধি স্বাক্ষরিত হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় আইসিসি। যদিও যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিটি আলোচনায় সহায়তা করেছিল, তবে ওয়াশিংটন আইসিসির সদস্য নয় এখন। এর অর্থ গ্যালান্ট যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখলে যুক্তরাষ্ট্রকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মেনে চলতে হবে না।

যুক্তরাষ্ট্র ২০০০ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের প্রশাসনের অধীনে আইসিসি প্রতিষ্ঠাকারী চুক্তি রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেছিল, কিন্তু কখনই চুক্তিটিকে অনুমোদন করেনি। আর ২০০২ সালে, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ. বুশের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে রোম সংবিধি থেকে তার স্বাক্ষর প্রত্যাহার করে নেয়।

ইরাক এবং আফগানিস্তানের মতো সংঘাতে গৃহীত পদক্ষেপের জন্য নাগরিকদের, বিশেষ করে সামরিক কর্মী এবং কর্মকর্তাদের বিচারে আইসিসিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আগে থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র সুদান বা লিবিয়ার মতো নির্দিষ্ট দেশে যুদ্ধাপরাধের তদন্তে সহায়তা করতে কিছু বিষয়ে আইসিসির সঙ্গে জড়িত, তবে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে আদালতে যোগ দেয়নি।

 

সূত্র : আল-মায়াদিন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: