যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের যোগাযোগ চ্যানেলগুলো এখনো খোলা রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার এক সপ্তাহ পর ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক ১৩ নভেম্বর বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি একটি সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভা বৈঠকের ফাঁকে এদিন বলেন, ‘আমাদের ও আমেরিকানদের মধ্যে যোগাযোগ চ্যানেলগুলো এখনো বিদ্যমান। আমাদের ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কিছু মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে, যা হয়তো সমাধানযোগ্য নয়। তবে আমাদের এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, যাতে তাদের প্রভাব ও উত্তেজনা হ্রাস করা যায়।’
আরাগচি গত মাসে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ পারমাণবিক আলোচনা করার কোনো ভিত্তি নেই। তিনি ১৪ অক্টোবর ওমান সফরের সময় বলেন, ‘আমরা এসব আলোচনার জন্য কোনো ভিত্তি দেখছি না, যতক্ষণ না আমরা বর্তমান সংকটটি কাটিয়ে উঠতে পারি।’
ওমান দীর্ঘদিন ধরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে। দুই দেশ ১৯৭৯ সালের ইসলামী বিপ্লবের পর সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ওই বিপ্লবে পশ্চিমা সমর্থিত শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভি উৎখাত হন।
ইরানের শীর্ষ কূটনীতিকের মন্তব্যগুলো দেশের প্রেসিডেন্টও মঙ্গলবার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপারে, আমরা চাই বা না চাই, একদিন না একদিন আমাদের এই দেশের সঙ্গে আঞ্চলিক কিংবা আন্তর্জাতিক মঞ্চে মুখোমুখি হতে হবে।
১৯৭৯ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন ইরান ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রধান শক্তিগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল, যাতে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার বিনিময়ে ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে চুক্তিটি বাতিল করে এবং আবার নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি বুধবার তেহরানে সফর করার সময় এই ঘটনাগুলো ঘটছে। তিনি ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেশের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবেন।
আরাগচি বুধবার আরো বলেন, সংস্থাটির সঙ্গে ‘সহযোগিতা নিয়ে কিছু সমস্যা ও অমিল রয়েছে’। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, গ্রসির সফরের সময় দুই পক্ষ ‘কিছু পার্থক্য মীমাংসা করতে এবং ভবিষ্যতে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে পারবে।’
সূত্র : এএফপি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: