যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা এবং বৈশ্বিক জলসীমায় আধিপত্য বিস্তারে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল চীন। পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরীর জন্য প্রোটোটাইপ তৈরি করেছে বেইজিং। স্যাটেলাইটের ছবি পর্যবেক্ষণ করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা এপি।
তাইওয়ান ইস্যুতে সম্প্রতি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক। এবার বৈশ্বিক জলসীমায় আধিপত্য বিস্তারে বেইজিংয়ের নতুন অগ্রগতি ভাবাচ্ছে ওয়াশিংটনকে।
অনেকদিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরী তৈরির ছক কষছে চীন। এবার সেই গুঞ্জনের মধ্যেই নতুন আরেক আলোচনা। সেই পরিকল্পনার প্রোটোটাইপ তৈরি করে ফেলেছে বেইজিং। বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
চীন পারমানবিক শক্তিচালিত বিশাল এক রণতরী নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার মিডলবারি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের স্যাটেলাইট ইমেজ এবং দেশটির সরকারি নথিপত্র।
পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য বিস্ফোরক উপাদান উৎপাদনে বিইজিং চুল্লি নির্মাণ করছে- এমন সন্দেহে দক্ষিণ–পশ্চিম চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লেশান শহরের বাইরে একটি পর্বত এলাকায় অনুসন্ধান চালান মিডলবারি গবেষকরা। স্যাটেলাইটের ছবি, বিভিন্ন কাগজপত্র বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, স্থলে স্থাপনযোগ্য চুল্লির প্রোটোটাইপ বানাচ্ছে চীন। দেশটির পারমাণবিক শক্তি ইনস্টিটিউটের অধীনে ‘বেস ৯০৯’ নামে একটি সংরক্ষিত এলাকায় চুল্লিটি রাখা হয়েছে।
বিশেষ ধরনের এ রণতরি সমুদ্রে দীর্ঘ সময় অবস্থান করতে পারে। জ্বালানি ও অস্ত্রের জন্য বেশি জায়গা থাকায় এই যুদ্ধজাহাজ সাধারণ রণতরীর চেয়ে বেশি বিমান বহন করতে পারে। এছাড়া শক্তিশালী প্রযুক্তি পরিচালনায় বেশি বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে সক্ষম এসব রণতরী। তবে, এটা তৈরিতে বেশি সময় লাগে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এমন দাবি করলেও, শি প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরী রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীন যদি একবার এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করতে পারে তবে বৈশ্বিক জলসীমায় একক কর্তৃত্ব তাদের দখলেই থাকবে। এ ঘটনার পর ভূরাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের পরাশক্তির তকমা নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন অবস্থায় পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: