ভয়ানক বায়ুদূষণের কবলে পড়েছে পাকিস্তান। বিশেষ করে লাহোরে বায়ুদূষণের মাত্রা এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে, বাইরে বের হলেই কাশিসহ চোখ জ্বালাপোড়া করছে। এরইমধ্যে বায়ুদূষণজনিত অসুস্থতায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত ৯০০ জন। খবর ডন ও সিএনএনের।
শীতকাল শুরু না হতেই ভয়াবহ বায়ুদূষণের শিকার হয়েছে পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোর ও মুলতান। দূষণ পরিস্থিতি এতটাই চরমে দাঁড়িয়েছে যে, মহাকাশ থেকেও দেখা যাচ্ছে বিষাক্ত ধোঁয়া ও কুয়াশার আস্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা- নাসার ওয়ার্ল্ডভিও স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবিতে দেখা গেছে, ধূসর ধোঁয়াশার একটি বিশাল মেঘ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশকে ঢেকে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, কুয়াশা ও ধূলির মেঘ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ও তার পূর্ব দিকে প্রসারিত হয়ে আছে।
বায়ুদূষণের কারণে এরইমধ্যে লাহোর শহরসহ পাঞ্জাব প্রদেশের বেশ কয়েকটি শহরে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অতি দরকার ছাড়া মানুষকে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বৈশ্বিক বায়ুদূষণ পরিস্থিতি তুলে ধরা সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যমতে,মঙ্গলবার সকালে বায়ুর মান সূচকে লাহোরের সবশেষ স্কোর ছিল ৭৭০। আগের দিন সোমবার লাহোর শহরের বায়ু মানের সূচক ১২০০ ছাড়িয়ে যায়।
বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তবে ওই বাতাস বায়ু মান সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’। তবে এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের এবং ১০১-১৫০ হলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।
বাতাসের পিপিএম ১৫১-২০০ হলে তা শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর, মাত্রা ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বায়ু বলা হয়। সেক্ষেত্রে সব মাত্রাকেই ছাড়িয়ে গেছে লাহোরের বাতাস।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: