কানাডার দাবানলের ধোঁয়া এবার নরওয়ের দিকেও চলে যাচ্ছে। নরওয়ের কর্মকর্তারা ৯জুন, শুক্রবার জানিয়েছেন, কানাডার দাবানল থেকে সৃষ্ট ধোঁয়ায় পূর্ব যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার কিছু অংশ ঢেকে যাওয়ার পর তা নরওয়ের ওপর দিয়ে চলে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ধোঁয়া দক্ষিণ ইউরোপের দিকেও চলে যাবে।
নরওয়ের জলবায়ু এবং পরিবেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট (এনআইএলইউ) এবং জলবায়ু বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, ধোঁয়া কিভাবে বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করবে এবং আরো দক্ষিণে যাওয়ার আগে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হবে। ধোঁয়া সেখানে স্বাস্থ্যঝুঁকি না-ও তৈরি করতে পারে।
গবেষণা ইনস্টিটিউট (এনআইএলইউ) টুইট করে জানিয়েছে, ‘কানাডার দাবানলের ধোঁয়া এখনো নরওয়ের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইউরোপের অন্যান্য অংশেও পৌঁছে যাবে।’
১ জুন থেকে ধোঁয়া গ্রিনল্যান্ড এবং আইসল্যান্ডের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে এবং দক্ষিণ নরওয়ের পর্যবেক্ষণে অ্যারোসোলাইজড কণার ক্রমবর্ধমান ঘনত্ব রেকর্ড করা হয়েছে বলে একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান জানিয়েছে।
একজন গবেষক বলেছেন, ‘আমরা কুয়াশা বা ধোঁয়া, গন্ধ দেখতে পারি, তবে নরওয়েতে বাতাসে থাকা দূষিত কণার সংখ্যা এত বেশি না, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, কানাডায় আগুন জ্বলতে থাকায় ধোঁয়া সম্ভবত নরওয়ের মধ্য দিয়ে যেতে থাকবে।
ভয়াবহ আগুনে জ্বলছে কানাডার বনাঞ্চলে। এতটাই ভয়াবহ যে এর প্রভাব পড়ছে উত্তর আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলেও।
চারদিক ধূসর ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। দুই দেশ মিলে প্রায় ১০ কোটি মানুষ সমস্যায় পড়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এটিকে ‘ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ দাবানল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কানাডার দক্ষিণ অংশের বনাঞ্চলের প্রায় ৩৮ লাখ হেক্টর এলাকা পুড়ছে আগুনে। কানাডায় প্রায় ২০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে দেশের বিভিন্ন অংশে বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। নিউ ইয়র্ক শহরে দূষণের মাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। সবাইকে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে মানা করা হয়েছে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: