উত্তর কোরিয়া এবার নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণ করেছে। ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দেশটি তার পূর্ব উপকূলের সমুদ্রের দিকে কিম জং উনের উপস্থিতিতে দূরপাল্লার এই ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করে। যে মিসাইলটি ছাড়া হয়েছে, তা ব্যালেস্টিক মিসাইল বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে, উত্তর কোরিয়া যত মিসাইল পরীক্ষা করেছে, এটি তাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে দাবি করেছে গণমাধ্যম।
কিম বলেছেন, ‘এই পরীক্ষার মাধ্যমে বিপক্ষ দেশগুলিকে যুতসই বার্তা দেওয়া গেল।’ বস্তুত, বুধবারই দক্ষিণ কোরিয়া জানিয়েছিল, উত্তর কোরিয়া তাদের সপ্তম পরমাণু পরীক্ষার জন্য তৈরি বলে তাদের গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন। শুধু তা-ই নয়, তাদের হাতে এখন এমন ব্যালেস্টিক মিসাইল আছে, যা যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এর পরই বৃহস্পতিবার ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করলো উত্তর কোরিয়া। মনে করা হচ্ছে, এই মিসাইল যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত পৌঁছানোর ক্ষমতা রাখে।
জার্মানি এই পরীক্ষাকে বেআইনি বলে ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া একের পর এক গণহত্যার জন্য অস্ত্র তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ বৃহস্পতিবারই এর বিরোধিতা করেছিল। আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, উত্তর কোরিয়া একের পর এক ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করে চরম বেআইনি কাজ করছে। এই পরীক্ষা নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তের বিরোধী।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার এই বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে বিশেষ বৈঠক হতে পারে। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারে, ফ্রান্স, মালটা, জাপান, স্লোভেনিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবারই দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা প্রধান জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়া ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছে। উত্তর সাগরে গিয়ে সেই মিসাইল পড়েছে। মিসাইলের গতি দেখে মনে হয়েছে, এটি একটি দূরপাল্লার মিসাইল। এবং সে কারণেই মিসাইলটিকে উপরের দিকে অ্যাঙ্গেল করে ছোঁড়া হয়েছিল, যাতে তা বেশি দূর পৌঁছাতে না পারে।
জাপানের কোস্টা গার্ডি জানিয়েছিল, মিসাইলটি জাপানের দ্বীপ অকুসিরি থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। এদিকে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, মিসাইলটি এক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাত হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত তা উপরে উঠেছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: