দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের দাবি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। যেটি ৮৬ মিনিটের বেশি সময় ধরে আকাশে উড়তে সক্ষম হয়েছে এবং সমুদ্রে পড়ার আগে ১,০০০ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করেছে। উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত যেসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে তার মধ্যে এটিই দীর্ঘতম পথ পাড়ি দিতে সক্ষম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যম।
এতে বলা হয়, সিউল এবং পিয়ংইয়ংয়ের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের খবর আসল। বৃহস্পতিবার দেশটির পূর্ব উপকূলের সমুদ্রের দিকে দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করেছে পিয়ংইয়ং।
উচ্চকোন থেকে ছোড়া আইসিবিএম নামের দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল। এর অর্থ হচ্ছে যদি এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সমান্তরালভাবে উৎক্ষেপণ করা হয় তবে এটি আরও বেশি দূরত্ব অতিক্রম করবে।
একদিন আগেই দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক গোয়েন্দারা সেদেশের সংসদ সদস্যদের জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়া তাদের সপ্তম পরমাণু পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত গিয়ে আঘাত হানতে পারে, এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও তারা এবার পরীক্ষা করতে চলেছে।
জাপানের কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, মিসাইলটি তাদের ওকুশিরি দ্বীপের থেকে তিনশ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাকাতানি জানিয়েছেন, অন্ততপক্ষে একটি আইসিবিএম পর্যায়ের ব্যালেস্টিক মিসাইল পিয়ংইয়ং থেকে উত্তরপূর্ব দিকে ছোড়া হয়েছে। এটা এক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব পার করেছে। মিসাইলের সবচেয়ে বেশি উচ্চতা ছিল সাত হাজার ফিট। নাকাতানি বলেছেন, উত্তর কোরিয়া এখনো পর্যন্ত যত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, তার মধ্যে এই মিসাইলটি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে গেছে। তাই বর্তমানে চালু ক্ষেপণাস্ত্রগুলি থেকে এটি আলাদা। যুক্তরাষ্ট্র এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা করেছে।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়ার এই উৎক্ষেপণের প্রতিক্রিয়ায় নতুন করে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: