লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ তাদের নতুন নেতা মনোনীত করেছে। ২৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার দলটি বলেছে, হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাসেম এক মাসেরও বেশি আগে নিহত হাসান নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
একটি লিখিত বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, দলীয় প্রধান হিসেবে ৭১ বছর বয়সী কাসেমকে মনোনীত করেছে শুরা কাউন্সিল।
১৯৯১ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির তৎকালীন নেতা আব্বাস আল-মুসাভি হিজবুল্লাহর উপপ্রধান হিসেবে কাসেমকে নিয়োগ দিয়েছিলেন। পরের বছর ইসরায়েলি হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হন আল-মুসাভি।
নাসরাল্লাহ যখন হিজবুল্লাহর দায়িত্ব নেন, তখনও কাসেম তার পদে ছিলেন। দলটির অন্যতম প্রধান মুখপাত্র হিসেবে বিদেশি গণমাধ্যমের কাছে দীর্ঘদিন ধরে সাক্ষাৎকার দিয়ে আসছেন তিনি।
তিন দশক হিজবুল্লাহকে নেতৃত্ব দেওয়া নাসরাল্লাহ এক ইসরায়েলি হামলায় ২৭ সেপ্টেম্বর নিহত হন। তার এক সপ্তাহ পরে নাসরাল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি ও হিজবুল্লাহর সিনিয়র নেতা হাশেম সাফেইদ্দিনকে হত্যা করে ইসরায়েল।
নাসরাল্লাহর মৃত্যুর পর থেকে টেলিভিশনে এখন পর্যন্ত তিনটি ভাষণ দিয়েছেন কাসেম। তিনি বলেছেন, লেবাননে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে হিজবুল্লাহ।
লেবাননের অনেকেই মনে করেন, কাসেমের মধ্যে নাসরাল্লাহর মতো ক্যারিশমা ও দৃঢ়তার অভাব রয়েছে।
এদিকে, কাসেম নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর কিছুটা হুমকির সুরে এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছে ইসরায়েল সরকার। তারা বলেছে, নাসরাল্লাহ ও সাফেইদ্দিনের পথে চললে, হিজবুল্লাহর ইতিহাসের সংক্ষিপ্ততম সময়ের নেতা হতে যাচ্ছেন নাইম কাসেম। লেবানন যদি শান্তি চায়, তাদের সামনে কেবল একটি পথই খোলা আছে। তা হলো হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: