তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অবস্থিত দেশটির অন্যতম প্রধান প্রতিরক্ষা সংস্থা তুর্কি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ ইনকরপোরেটেড (টিইউএসএএস) লক্ষ্য করে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। ২৪ অক্টোবর ওই স্থাপনায় এ হামলা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
তুরস্কের সম্প্রচারমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজ দেখা গেছে, বেশ কয়েকজন সশস্ত্র আততায়ীরা বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করে। এরপর তাঁরা গুলি ছোড়ে ও বিস্ফোরণ ঘটায়।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে (সাবেক টুইটার) বলেছেন, ‘আঙ্কারার কাহরামানকাজানে অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের অবকাঠামোতে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, এতে অনেকেই শহীদ হয়েছেন ও বহু মানুষ আহত হয়েছে।’
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ঘটনাস্থলের ফুটেজে দেখা গেছে, আঙ্কারা থেকে ৪০ কিলোমিটার উত্তরে ছোট্ট শহর কাহরামানকাজানে বিশাল ধোঁয়ার মেঘ ও বড় ধরনের আগুন জ্বলছে। ঘটনাস্থলে একটি বিকট বিস্ফোরণ এবং গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এ সময় আগ্নেয়াস্ত্র হাতে এক ব্যক্তিকে দৌড়াতে দেখা গেছে।
বিস্ফোরণ এবং পরবর্তী বন্দুকযুদ্ধের কারণ ও অপরাধীরা অস্পষ্ট রয়ে গেছে। কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, একটি আত্মঘাতী হামলা হয়েছে এবং ভবনের ভেতরে জিম্মি রয়েছে। তবে কর্মকর্তারা এ বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেননি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ভবনের অভ্যন্তরে থাকা কর্মচারীদের কর্তৃপক্ষ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছে এবং কাউকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাঁরা বলেছে, কর্মীরা কাজ শেষে বের হওয়ার সময় বিভিন্ন বহির্গমন পথে বোমা হামলা হয়ে থাকতে পারে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম বলেছে, জরুরি পরিষেবাগুলো ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। কর্মকর্তারা হামলার তদন্ত শুরু করেছে।
আঙ্কারার মেয়র মনসুর ইয়াভাস জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা স্থাপনায় হামলার ঘটনায় তিনি মর্মাহত।
তুর্কি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ ইনকরপোরেটেডকে তুরস্কের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ও বিমান কোম্পানি বলা হয়ে থাকে। দেশটির প্রথম যুদ্ধবিমান তৈরি করে এই কোম্পানি। এতে প্রায় ১০ হাজার কর্মী রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: