নেতানিয়াহু সরকার ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত ও অবরুদ্ধে ভূখণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে একযোগে পদত্যাগ করার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। একটি চিঠিতে এমন হুমকি দিয়েছে ১৩০ জন সেনার একটি দল। ৯ অক্টোবর, বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করেছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।
ইসরায়েলের মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী ও ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফকে সম্বোধন করে লেখা ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে সাঁজোয়া কর্পস, আর্টিলারি কর্পস, হোম ফ্রন্ট কমান্ড, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর মতো বিভিন্ন সামরিক ইউনিটের সদস্য রয়েছেন।
চিঠিতে গাজায় অভিযান অব্যাহত রাখার বিরোধিতা করে সেনারা বলেছেন, সংঘাত জিম্মিদের মুক্তি বিলম্বিত এবং তাদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলেছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘এটি এখন খুবই স্পষ্ট, গাজায় যুদ্ধ অব্যাহত রাখা শুধু জিম্মিদের ফিরিয়ে আনাকেই বিলম্বিত করে না বরং, তাদের জীবনকেও বিপন্ন করে: তাদের বাঁচানোর জন্য পরিচালিত সামরিক অভিযানে আইডিএফের হামলায় অনেক জিম্মি নিহত হয়েছেন, তাদের সংখ্যা উদ্ধারকৃতদের চেয়েও অনেক বেশি।’
সরকার একটি জিম্মি বিনিময় চুক্তিতে রাজি না হওয়া পর্যন্ত তারা আর সামরিক কাজে ‘যোগদান করতে পারবে না’ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। চিঠিতে তারা বলেন, তাদের মধ্যে অনেকের জন্যই ইতোমধ্যে চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করে গেছে। অন্যদের জন্য এই সীমা দ্রুত এগিয়ে আসছে। সেই দিনটি বেশি দুরে নয় যখন তারা ভাঙ্গা হৃদয় নিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেবেন।
গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে একটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব রাখা হয়। তা সত্ত্বেও গত বছর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় নৃশংস হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যা হামাস। এসময় প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় সশস্ত্র যোদ্ধারা।
এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় একইদিন গাজায় সামরিক অভিযান চালায় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪২ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: