এবার ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে সরাসরি ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালালো ইয়েমেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরে এসে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিমানবন্দরে অবতরণের সময়কে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি।
২৯ সেপ্টেম্বর, শনিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, হামলার জন্য ফিলিস্তিনি-২ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে তারা। নির্য াতিত ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি জানানো এবং গাজা ও লেবাননে ইসরায়েলের চলমান অপরাধযজ্ঞের জবাব হিসেবে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম মেহর নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইয়েমেনের সামরিক মুখপাত্র বলেছেন, শত্রুদের অপরাধের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রতিটি স্তরে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে এবং গাজা ও লেবাননের প্রতিরক্ষায় অবদান রাখার জন্য কোনো দ্বিধা করব না আমরা। গাজা ও লেবাননের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ হলে তবেই আমাদের অভিযান বন্ধ হবে।
এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলের আকাশসীমায় ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রবেশর পর বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের ভেতরে সাইরেন বাজা শুরু হয়। আর ক্ষেপণাস্ত্রটি ওই বিমানবন্দরে আঘাত করার আগেই সেটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের মাধ্যমে বিধ্বস্ত করে ফেলা হয়।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর মৃত্যুর একদিন পর এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালো ইয়েমেন। নেতার মৃত্যুর পরও গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে এ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্য জানিয়েছে হুথি আনসারুল্লাহ সংগঠনের সদস্যরা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: