২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে কানাডার সংসদে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ায় তাকে এ পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হয়। এবারই প্রথমবারের মতো ট্রুডোর নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করে সংসদে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করেছিল বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টি। তবে সেই ভোটে টিকে গেছেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো।
ট্রুডো সরকারের পক্ষে ২১১-১২০ ভোট পড়ায় এ যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। এই ভোটে ট্রুডো সরকারের পতন হলে কানাডায় নতুন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
হাউজ অফ কমন্সে সরকারি ব্যবসার দায়িত্বে থাকা সিনিয়র লিবারেল আইনপ্রণেতা করিনা গোল্ড বলেন, ‘আজ দেশের জন্য একটি ভাল দিন ছিল। কারণ আমি মনে করি না কানাডিয়ানরা নির্বাচন চায়।’
গত ৯ বছর ধরে সংখ্যালঘু সরকারের অধীনে কানাডার প্রধানমন্ত্রিত্ব করছেন ট্রুডো। ২০২১ সালে দেশটির সর্বশেষ ফেডারেল নির্বাচনের পর তার দল লিবারেল পার্টি বামপন্থি নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়ায় ট্রুডোর নেতৃত্ব এখনো টিকে আছে। তবে চলতি মাসেই ট্রুডোর উদারপন্থি সরকারের সমালোচনা করে জোট থেকে বেরিয়ে গেছে জগমিত সিংয়ের নেতৃত্বাধীন এনডিপি। এরপরই ট্রুডোর পদত্যাগের দাবি ওঠে। কনজারভেটিভ দলের নেতা পিয়েরে পোইলিভ অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব করেন।
উল্লেখ্য, কানাডায় জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং গভীরতর আবাসন সংকটের কারণে দেশটিতে জাস্টিন ট্রুডোর জনপ্রিয়তা হ্রাস পাচ্ছিল।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: