লেবাননজুড়ে সাম্প্রতিক ওয়াকি-টকি ও পেজার বিস্ফোরণে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর একাধিক ঊর্ধ্বতন কমান্ডারসহ ৩৭ জন নিহত হয়েছে। প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলের রামাত ডেভিড ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহও। ফলে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।
২২ সেপ্টেম্বর, রোববার আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েলি বাহিনী ও হিজবুল্লাহর মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘাতের ঘটনা।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ইসরায়েলি নাগরিকদের বিরুদ্ধে হুমকি মোকাবিলায় দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় অনেকগুলো যুদ্ধবিমান ব্যবহার করা হয়েছে।
লেবাননের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান শনিবার সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণ লেবাননে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়েছে। এর আগে শুক্রবার ১৫০টি রকেট দিয়ে ইসরায়েলের সীমান্ত এলাকায় হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। তবে এই হামলায় কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানানো হয়নি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবানন থেকে ছোড়া রকেটে ইসরায়েলে উত্তরাঞ্চলের একাধিক স্থাপনা ও বাড়িঘরে আগুন ধরে গেছে। ইসরায়েলের জরুরি মেডিকেল সেবা সংস্থা বলেছে, রকেটের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনই ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় হাইফা শহরের বাসিন্দা।
ইসরায়েলের বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা মুহুর্মুহু রকেট হামলার ঘটনায় উত্তরাঞ্চলের সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। গত প্রায় এক বছর ধরে চলা গাজা যুদ্ধের মাঝে লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে সর্বশেষ এই উত্তেজনায় ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর ক্রমবর্ধমান সংঘাতে ওই অঞ্চলে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা হামাস-শাসিত গাজা উপত্যকার বদলে লেবাননের ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর ওপর তাদের সামরিক অভিযানের ফোকাস ঘুরে যাবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: