বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় জাতিসঙ্ঘের ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ

মুনা নিউজ ডেস্ক | ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৯:৪৫

গ্রাফিক্স গ্রাফিক্স

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলি হামলার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসঙ্ঘ। উভয় পক্ষকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘ সদর দফতর থেকে একটি আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা জানায়, জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই আজ বৈরুতে যে মারাত্মক হামলা দেখলাম তা-সহ ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন...। আমরা সব পক্ষকে অবিলম্বে উত্তেজনা প্রশমিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। সবাইকে সর্বোচ্চ সংযম অবলম্বন করতে হবে।’

জানা গেছে, দক্ষিণ বৈরুতে হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে ইসরাইলি হামলার শুক্রবার ১২ জন নিহত হয়েছে।

বৈরুত থেকে এএফপি জানায়, একটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। বেসামরিক প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, হামলায় সেখানে দুটি ভবন ধসে পড়েছে।

মন্ত্রণালয় বলেছে, বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলীতে ইসরাইলি শত্রুর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে এবং ৬৬ জন আহত হয়েছে, যার মধ্যে নয় জনের অবস্থা গুরুতর।

উদ্ধারকারীরা এখনো ধ্বংসস্তূপের মধ্যে অনুসন্ধান করছেন বলে জানা যায়।

এদিকে লেবাননের প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ বৃহস্পতিবার বলেছে যে- তারা গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে এবং দক্ষিণ লেবাননে দখলদার ইসরাইলি সরকারের হামলার প্রতিক্রিয়ায় নতুন অভিযান চালিয়েছে।

হিজবুল্লাহ বলেছে যে- তারা কামানের গোলা দিয়ে ইসরাইলের আল-মালকিয়া সামরিক অবস্থানকে লক্ষ্য করে সরাসরি আঘাত হেনেছে। হিজবুল্লাহর কাতিউশা রকেটগুলো হারমন ব্রিগেড ৮১০-এর কমান্ড হেডকোয়ার্টার মা'আলেহ গোলানি সামরিক ঘাঁটির পাশাপাশি শোমেরা এবং মেটাত ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে।

ইয়ারা ব্যারাকে ইসরাইলের পশ্চিম ব্রিগেডের কমান্ড হেডকোয়ার্টারও রকেট দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। প্রতিরোধ সংগঠনটি বলেছে যে- তারা বৃহস্পতিবার অধিকৃত গোলান মালভূমির গালিলিতে এবং অধিকৃত কাফারচৌবা পাহাড়ে ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুতে ১৭টি হামলা চালিয়েছে।

উত্তর ইসরাইলে হিজবুল্লাহর একটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলায় দুই ইসরাইলি সেনা নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে বলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে।

লেবাননে ইসরাইল তার বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর কয়েক ডজন রকেট লাঞ্চারপ্যাডসহ অন্যান্য অবকাঠামোতে আঘাত হানার দাবি করার পরে নতুন করে এ অভিযান শুরু হলো।

লেবানন জুড়ে ইসরাইলের সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ৩০ জন নিহত এবং তিন হাজারের বেশি মানুষ আহত হওয়ার পর হিজবুল্লাহ এবং ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবশ্য গাজার ওপর ইসরাইল স্থল আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে লেবাননের হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা নিয়মিতভাবে ইসরাইলের ভেতরে হামলা চালিয়ে আসছে। তারা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে, ইসরাইল আগ্রাসন বন্ধ না করা পর্যন্ত হিজবুল্লাহ তাদের হামলা অব্যাহত রাখবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: