রুশ বাহিনীতে নতুন আরও ১ লাখ ৮০ হাজার সেনা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয় দফা সেনা বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন তিনি। এর মধ্যদিয়ে দেশটি হতে যাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনী। খবর রয়টার্সের।
এদিকে, ইউক্রেনের গোয়েন্দা প্রধান দাবি করেছে, ২০২৬ সালের মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করতে চায় রাশিয়া। আর এ দাবির পরই সেনা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো রাশিয়া।
স্থানীয় সময় ১৬ সেপ্টেম্বর, সোমবার ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক ডিক্রিতে বলা হয়েছে, পুতিন সশস্ত্র বাহিনীর সামগ্রিক আকার ২৩ লাখ ৮০ হাজারে উন্নীত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে ১৫ লাখ থাকবে সক্রিয় সেনা।
সামরিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (আইআইএসএস) বরাতে রয়টার্স জানায়, সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর ফলে সক্রিয় সেনাবাহিনীর দিক থেকে চীনের পরই থাকবে রাশিয়া। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনী হবে দেশটির।
রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের প্রতিরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান আন্দ্রেই কার্তাপোলভ বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ও আমাদের সাবেক বিদেশি অংশীদারদের আচরণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সশস্ত্র বাহিনীকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সেনাসংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের এখন নতুন কাঠামো ও সামরিক ইউনিট গঠন করা দরকার।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে পুতিন তৃতীয়বারের মতো সেনাবাহিনীর সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন। সে বছর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে দুদফায় ৩ লাখেরও বেশি সেনা বাড়িয়েছিল রাশিয়া।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: